চিঠিতে সনিয়া গান্ধি লিখেছেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কোনও রকমের আলোচনা না করেই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে৷ এই অধিবেশন কেন ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের কারও বিন্দুমাত্র কোনও ধারণা নেই৷ আমাদের শুধু জানানো হয়েছে, এই ৫ দিনই কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷’
advertisement
পরিবর্তে বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করার মতো বেশ কিছু বিষয়ের তালিকাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসনেত্রী৷ সেই তালিকায় রয়েছে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক, সাম্প্রদায়িকতা, মণিপুর ইস্যু এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়৷
চিঠিতে সনিয়া লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, গঠনমূলক সহযোগিতাকে মান্যতা দিয়ে বিশেষ অধিবেশনে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হোক৷’
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরে সনিয়া গান্ধির এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার’ জায়গায় লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’৷ G-20 অধিবেশনের নৈশভোজের আমন্ত্রণ পত্র সামনে আসার পর থেকে সারা দেশজুড়ে কেবল একটাই আলোচনা, তাহলে কি, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বাদ দিয়ে ‘ভারত’ করা হচ্ছে, সেই কারণেই কি তড়িঘড়ি ডাকা হয়েছে বিশেষ অধিবেশন?
শুধু তাই নয়, গত মঙ্গলবার বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইন্দোনেশিয়া সফরের যে নথি সাংবাদিকদের দিয়েছেন, সেটিতেও মোদিকে “Prime Minister of Bharat” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷