ভারত এখন কূটনীতির টেবিলে শুধু বন্ধুত্ব নয়, অর্থনীতিকেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একদিকে রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে বন্ধুত্ব জোরদার করছে; অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে বড় মাপের অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
🔹 S-400 নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক
রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালে ৫টি স্কোয়াড্রনের S-400 কেনার জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল ভারত। ইতিমধ্যেই ৩টি স্কোয়াড্রন ভারতে এসে পৌঁছেছে। এই চুক্তি আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে তুলে ধরে।
🔹 দ্বিমুখী কূটনৈতিক কৌশল: রাশিয়াও, আমেরিকাও
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত তার শক্তিশালী বাজার ও অর্থনীতিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করছে। একদিকে আমেরিকার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনার মাধ্যমে ট্রেড ডেফিসিট কমানো, অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ রাখা— এই দু’টোই ভারতের আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষার অংশ।
🔹 মার্কিন বাজারের দরজা খুলছে ভারত?
২০২৫ সালের ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ভারত-আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে বলে আলোচনা চলছে। সেখানে ভারতকে আমেরিকার গাড়ি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং কৃষিজ পণ্যের জন্য বাজার খুলে দিতে হতে পারে।
এপ্রিল ২০২৫-এ ভারতের মোট আমদানি ১৯% বেড়েছে, কিন্তু শুধু আমেরিকা থেকেই আমদানি বেড়েছে ৬৩%। এতে ভারতের আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তও কিছুটা কমেছে — ৩.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে এসে দাঁড়িয়েছে ৩.১ বিলিয়ন ডলার।
🔸 পশ্চিম এশিয়ার অস্থিরতা, ভারতের ‘বিকল্প’ খোঁজ
ভারত তার মোট অপরিশোধিত তেল চাহিদার ৮৮ শতাংশই আমদানি করে। পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মার্কিন তেলকে বিকল্প উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, আমেরিকা চায় ভারত হোক তাদের জ্বালানি পণ্যের বড় গ্রাহক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন,
“আমেরিকা ভারতকে তেল ও গ্যাস সরবরাহে বড় ভূমিকা নিতে চায়।”