নিস্তার নামটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘মুক্তি’ বা ‘উদ্ধার’ । ঠিক তার মতোই এই জাহাজের প্রধান কাজ গভীর সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান, জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং ডুবো জাহাজে আটকে পড়া নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা । জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১১৮ মিটার এবং ওজন প্রায় ১০ হাজার টন । এটি ইন্ডিয়ান রেজিস্টার অফ শিপিংস-এর নির্দেশিকা অনুসারে নির্মিত হয়েছে ।
advertisement
জাহাজে রয়েছে আধুনিক ডাইভিং সাপোর্ট সিস্টেম, যার মধ্যে রয়েছে ৩০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত নজরদারি ও উদ্ধারকাজ চালানোর ক্ষমতা । পাশাপাশি রয়েছে ৭৫ মিটার গভীরতাতে ডাইভিং করার জন্য নির্দিষ্ট মঞ্চ এবং অত্যাধুনিক ডাইভিং যন্ত্রপাতি ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ‘নিস্তার’-এ রয়েছে একটি দূর-চালিত সাবমার্সিবল ভেহিকল (ROV), যার মাধ্যমে ১,০০০ মিটার গভীরতাতেও নজরদারি, অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব ।
এই জাহাজ শুধু উদ্ধার কাজেই নয়, বরং দেশের উপকূলীয় নিরাপত্তা, সমুদ্রসীমায় নজরদারি এবং সামুদ্রিক দুর্ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনীর গভীর সমুদ্রে কাজ করার ক্ষমতা আরও শক্তিশালী ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে ।
এই যুদ্ধজাহাজটির প্রায় ৭৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি এ দেশেই নির্মাণ করা হয়েছে । অর্থাৎ, বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে সম্পূর্ণ ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ‘নিস্তার’ । কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি এক বড় মাইলফলক বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা । বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের নৌবাহিনীর কাছেই রয়েছে এমন ধরনের জাহাজ। সেই তালিকায় এবার ভারতের নামও যুক্ত হল ।