বিলাবল ভুট্টো-জারদারির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দলের অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে জানান পাকিস্তানের তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রক মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। এই বিষয়ে তাঁর কাছে
‘বিশ্বস্ত সূত্র’ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এরপরেই পদক্ষেপ করে ভারত। বন্ধ করে দেওয়া হয় তারারের এক্স অ্যাকাউন্ট।
advertisement
পহেলগাঁও নাশকতার পরে এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ঘটনা ভীষণ দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন ভারত কোনও পদক্ষেপ করলে পাকিস্তান তার যোগ্য জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: বিরাট উদ্যোগ, এবার যা করল রেল, জানলে চমকে যাবেন আপনিও
অন্যদিকে, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পরেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। স্থগিত করা হয় ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি। আর এতেই রীতিমত ক্ষেপে যান বিলাবল ভুট্টো। সিন্ধ প্রদেশের এক জনসভায় রীতিমত হুমকির সুরে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। ওই জনসভায় তিনি বলেন। “সিন্ধু নদ আমাদের ছিল, আছে আর থাকবে। হয় এই নদ দিয়ে জল বইবে নয়ত এখান দিয়ে ওদের রক্ত বইবে।” পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধানের মুখের এই ভাষা ভারত-পাক চাপানউতোরে ঘি ঢেলেছিল। এবারে এই ঘটনায় পদক্ষেপ করল ভারত। গোটা দেশে বন্ধই করে দেওয়া হল দুই জনের এক্স হ্যান্ডেল।
আরও পড়ুন: খবর পাচার করে দিচ্ছিল পাকিস্তানে, এয়ারফোর্স ও সেনা ছাউনিতে ঢুকে তুলে নিচ্ছিল গোপন খবর
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলা ঘটে। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এই ঘটনার পরেই ভারত-পাক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। একের পর এক কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় রীতিমত দিশাহারা হয়ে পড়ে ইসলামাবাদ। ভারতের বিরুদ্ধে সমানে বিষোদগারও করতে থাকে এরপরেই আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় আকাশসীমা। বন্ধ করে দেওয়া হয় বন্দরে পাক জাহাজের আমদানি-রপ্তানিও।
