মিস্রি আরও বলেন, বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকদের একটি দলের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব এই মন্তব্য করেন। ‘‘বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে যে সরকারেরই আত্মপ্রকাশ ঘটুক, আমরা তার সঙ্গে কাজ করব,’’ মিস্রি বলেন।
advertisement
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
“আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে,” তিনি বলেন।
“আমরা উৎসাহিত যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ নিজেই এই নির্বাচনের জন্য একটি সময়সীমার কথা বলেছে এবং আমরা এই নির্বাচনগুলি অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব,” তিনি বলেন।
আরও পড়ুন– ১৫ জন স্ত্রী, ৩০ সন্তান ও ১০০ জন ভৃত্য… প্রাইভেট প্লেন থেকে রাজা নামতেই চমকে উঠলেন সবাই !
গত বছরের অগাস্টে সরকারবিরোধী বিশাল বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে তীব্র অবনতি দেখা দেয়।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি করছে কি না সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিস্রি বলেন, এটি একটি আইনি সমস্যা এবং উভয় পক্ষকেই এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।
“আমি শুধু এটুকুই বলব যে এটি একটি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কীয় এবং আইনি প্রক্রিয়া। এর জন্য দুই সরকারের মধ্যে সম্পৃক্ততা এবং পরামর্শ প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়টি দেখছি এবং আমরা এই বিষয়টিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একজোটে কাজ করার জন্য উন্মুখ। এর বাইরে, আমি মনে করি না এই মুহূর্তে আরও কিছু বলা গঠনমূলক হবে,” তিনি বলেন।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিঘ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গৃহীত সিদ্ধান্তের” পরিপ্রেক্ষিতে এগুলি ঘটেছে।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ভারত গঙ্গার জল চুক্তির নবায়ন এবং তিস্তা নদীর জল বণ্টন সহ আন্তঃসীমান্ত নদী সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।