২০২২-এর ডিসেম্বরে সেনার আপগ্রেডেশন ও উন্নতমানের অস্ত্রের কথা মাথায় রেখে তিন সেনার জন্য ৮৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাশ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেনার জন্য হাউইটজার কামান থেকে শুরু করে লাইট ওয়েট জোরাওয়ার ট্যাঙ্কের মতো একাধিক প্রকল্পকেও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। পাশাপাশি, চিন সীমান্তের কথা মাথায় রেখে সেনার প্রশিক্ষণেও বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান।
advertisement
আরও পড়ুন- হকি বিশ্বকাপে আজ ব্রিটিশ বধের লক্ষ্যে ভারত, কঠিন ম্যাচ হরমন, হার্দিকদের
৭৫ তম সেনা দিবসে বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেনাপ্রধান বলেন, "চিন সীমান্তে বার বার অশান্তির কথা মাথায় রেখে সেনা প্রশিক্ষণে ক্লোজ কম্বাট বা হাতাহাতি লড়াইয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।" এবার থেকে সেনাকর্মীদের MMA বা মিক্সড মার্সাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। জানান, আগামিদিনে শুরু হচ্ছে আর্মি মার্সাল আর্ট রুটিন ড্রিল। এই প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন মোট ৭০০ ইনস্ট্রাক্টর। প্রথম ব্যাচে স্পেশাল ফোর্সের ৯৯ জন কম্যান্ডোকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ওয়াসিম আক্রমের ছেলে মার্শাল আর্ট ফাইটার! পেশাদার লড়াইয়ে নাম করছেন আমেরিকায়
গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। চিন ও ভারতীয় সেনার সম্মুখ সংঘাতে ফের দ্বিপাক্ষিক সু-সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দু দেশের মধ্যে। তার পর থেকেই সেনা আরও তৎপর। নিজেদের শক্তি বাড়ানো ও সীমান্ত বরাবর আরও পরিকাঠামোর উন্নয়নেও নজর দেওয়া হয়। সীমান্ত এলাকার সেতু থেকে রাস্তা। নজরদারি থেকে বাদ যাচ্ছে না কিছুই। নজরদারিতে নিযুক্ত রয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনও।
এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাকিস্তান প্রসঙ্গেও ভারতের কড়া মনোভাব জানিয়েছে। উপত্যকায় কোনও রকম জঙ্গি কার্যকলাপে ভারতের জিরো টলারেন্স পলিসির কথা বারবার উল্লেখ করেছে। তার পর থেকেই উপত্যকায় একাধিক অপারেশনে অস্ত্র উদ্ধার ও জঙ্গিদের ধরার কাজেও তৎপরতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেনা।