নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আসন ধরে ধরে প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের কারণেই আসন সমঝোতার রাস্তায় অনেক দেরি হয়ে গেল বলে মত তৃণমূলের। তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের পরাজয়কে চড়া সুরে আক্রমণ শানাতে প্রস্তুত তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে পাশে পেতে পারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অখিলেশ যাদবকে।
advertisement
মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। মহুয়ার পাশে যেভাবে সনিয়া-রাহুলকে উপস্থিত হতে দেখা গেছে, তা জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধীতায় উল্লেখযোগ্য ছবি বলে মানছেন সকলেই। নানা ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। যদিও মহুয়া ইস্যুতে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনিও। তবে এর সাথে আসন সমঝোতার ঢিলেমিকে এক করে দেখতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৯ সালের লোকসভা, ২০২১ সালের বিধানসভার ফলের ভিত্তিতেই আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে শুধু কংগ্রেসকেই সর্বাধিক দুটি আসন ছাড়তে পারে তারা। পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ও আই এস এফের সাথে জোট আছে কংগ্রেসের। তবে বামেদের আসন ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা এখনও অবধি তৃণমূলের তরফে নেই। কংগ্রেস তার জোট সঙ্গীর সাথে কি বোঝাপড়া করবে তা নিয়ে বিচলিত নয় জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুন: ফের মেট্রো বিভ্রাট! দক্ষিণেশ্বর-দমদম পর্যন্ত বন্ধ পরিষেবা, ভোগান্তির আশঙ্কা
আগে থেকেই ডায়মন্ড হারবারের আসন চায় বলে জানিয়েছে আইএসএফ। কংগ্রেসের জোটসঙ্গীর এহেন আচরণকে ভালভাবে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় রাজনীতির প্রশ্নে পুরনো জোটসঙ্গী কংগ্রেসের প্রতি তৃণমূলের আচরণ নরম। তবে সেই নরম বিষয় আসন সমঝোতায় দাগ ফেলবে না বলেই জানাচ্ছেন নেতারা।
মুম্বই বৈঠকের পরে সাড়ে তিন মাস সময় পেরিয়েছে। আসন সমঝোতা না করে কংগ্রেস আসলে লড়াই শুরু করতে দেরি করেছে৷ দিল্লির INDIA বৈঠকে এই বার্তাই দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তেমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রের৷