আরও পড়ুন- দু'মাসের মধ্যে ফের কোভিড-১৯ আক্রান্ত কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি!
ভারতীয় তেরঙা পতাকা:
ভারতের বর্তমান জাতীয় পতাকা উপরের দিকে গেরুয়া রঙ, মাঝখানে সাদা এবং নীচে গাঢ় সবুজ। সাদা অংশে একটি গাঢ় নীল চক্র রয়েছে যার ২৪ টি কাঠি রয়েছে। তবে ভারতীয় পতাকা অনেক সংশোধনের পর বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে।
advertisement
ভারতীয় তেরঙা পতাকার ইতিহাস ও তাৎপর্য:
ভারতের প্রথম অনানুষ্ঠানিক পতাকাটি ১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতার পারসিবাগান স্কোয়ারে (গ্রিন পার্ক) উত্তোলন করা হয়েছিল। এটিও তেরঙাই ছিল কিন্তু লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙের ছিল। হলুদ অংশে দেবনাগরি লিপিতে বন্দে মাতরম লেখা ছিল, সবুজ অংশে ৮ টি আধখোলা পদ্ম ফুল ছিল।
১৯০৭, ১৯১৭ এবং ১৯২১ সালে সংশোধনের পর, অবশেষে ১৯৩১ সালে তেরঙাকে গ্রহণের একটি প্রস্তাব পাস হয়। এতে লালের বদলে উপরের অংশে লাল রঙ করা হয়। হলুদ বদলে করা হয় সাদা। সবুজ রঙের কোনও বদল হয় না। পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আগের পতাকাটিকে নতুন করে নকশা করেন জাতির নীতিকে চিত্রিত করার জন্য এবং এতে কোনও ধর্মীয় আঙ্গিক নেই।
আরও পড়ুন- আরএসএস, মোহন ভাগবতের ট্যুইটারের ডিপিতে তেরঙ্গা, ঘরে ঘরে পতাকা তোলার ডাক
গেরুয়া অর্থাৎ শক্তি, সাদা সত্য এবং সবুজ উর্বরতা চিত্রিত করে। ‘বন্দে মাতরম’ লেখার বদলে গান্ধিজির চরকা বসানো হয়। ১৯৩১ সালে গৃহীত এই পতাকাটি ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধের চিহ্নও ছিল।
১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আরেকটি সংশোধন করা হয়। প্রায় ২০০ বছরের দাসত্বের পর ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশের স্বাধীনতা লাভের কয়েকদিন আগে গণপরিষদ স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা হিসাবে কেন্দ্রে অশোকের চক্র সহ তেরঙা পতাকাকে গ্রহণ করে।