ভিডিওটি পেছনে থাকা আরেক বাইকারের ড্যাশক্যামে ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অ্যাম্বিয়েন্স মলের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লি–গুরুগ্রামে হাইওয়েতে একটি ক্যাব আচমকা লেন বদলে বামদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা করলে একটি সুজুকি হায়াবুসা বাইক সজোরে ধাক্কা খায়।
সংঘর্ষের ফলে বাইক আরোহীর মাথা গাড়িতে আঘাত লাগে এবং তিনি বাইক থেকে ছিটকে পড়ে কয়েক মিটার এগিয়ে গিয়ে থেমে যান।
advertisement
সোমবার সকালে জাতীয় রাজধানী দিল্লির উপর ঘন ধোঁয়াশার চাদর নেমে আসে, যার ফলে বাসিন্দারা কার্যত পরিষ্কার বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকেন। বারাপুল্লা ফ্লাইওভারের দৃশ্যে দেখা যায়, রাস্তা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে এবং দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম, ফলে যানবাহনগুলো খুব সাবধানে চলাচল করছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB)-এর তথ্য অনুযায়ী, ওই এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ৪৩৩, যা ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বা Severe পর্যায়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: এখন আরও বেশি টাকা, আরও বেশি দিন কাজ! ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে বদলাচ্ছে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প?
সকালে গোটা অঞ্চল জুড়েই দৃশ্যমানতা অত্যন্ত খারাপ ছিল। ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে পালামে দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ১০০ মিটার, যা সকাল ৪টা ৩০ মিনিটের পর থেকে আরও কমে ঘন কুয়াশার কারণে ৫০ মিটারে নেমে আসে। ওই সময় পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল। দিল্লির সফদরজং এবং পালাম—দু’জায়গাতেই দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ৫০ মিটার, আর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হিন্ডনে দৃশ্যমানতা ছিল শূন্য।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) সকাল এবং দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছিল। সফদরজং আবহাওয়া কেন্দ্র বিশেষভাবে কম দৃশ্যমানতার রিপোর্ট করেছে।
দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন অংশে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। সকালবেলার যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে ফ্লাইওভার এবং প্রধান রাস্তাগুলিতে গাড়ি চালাতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, এই ধরনের দূষিত বাতাসে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে—বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং যাঁদের আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের অসুখ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে।
