রাজ্যের পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে৷ ধালিওয়াল জানান, বিভাগীয় ডেপুটি ডিরেক্টর (পঞ্চায়েত), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন), জেলা উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত আধিকারিক, ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, জেলা পরিষদ, ব্লক ডেভেলপমেন্ট এবং পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সরকারি নির্দেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ অমান্য হলে লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- উদ্বেগজনক বারাণসীর বন্যা পরিস্থিতি! লাইফ জ্যাকেট পরে ভেলায় চেপে জলে নামলেন যোগী!
গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, অতীতে একাধিকবার নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে কোনও মহিলা প্রতিনিধির স্বামী, ছেলে বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকে পঞ্চায়েতের মিটিংয়ে তাঁদের হয়ে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও, দেখা গেছে যে যখনই নির্বাচিত জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত কমিটি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সভা হয়, নির্বাচিত মহিলাদের পরিবর্তে তাঁদের স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন- শুভ গণেশ চতুর্থী: গণপতি বাপ্পা মোরিয়া! জানেন, কী অর্থ এই 'মোরিয়া' শব্দের!
মন্ত্রী বলেন, “যারা একজন মহিলাকে সরপঞ্চ, পঞ্চ, ইত্যাদি নির্বাচন করেছেন, অন্য কেউ তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। আমাদের দেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে আইনজীবী, বিচারক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ দেখা যায়। তাই পঞ্চায়েত স্তরে মিটিং এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে তাঁদের জায়গায় অন্য কেউ প্রতিনিধিত্ব করার কোনও কারণ নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের অগ্রগতিতে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই এই ভুল প্রথাকে অবিলম্বে কঠোরভাবে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।” ধালিওয়াল আরও জানান, ভবিষ্যতে যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে যেখানে কোনও মহিলা সদস্যার জায়গায় তাঁর স্বামী বা ছেলে বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্য মিটিংয়ে আসেন তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।