সূত্রের খবর, কর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘‘আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন এই রাজ্যে আসতে। আমরা শিলং ও গারোতে দলীয় কার্যালয় খুলেছি সেটা আকারে ছোট হলেও, মানুষের মনে অনেক বড় জায়গা করে নেবে। মানুষের হৃদয় আমরা জিতে নেবই। এখানেও উন্নয়নের কাজ হবে। যদিও যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা এরা পূরণ করেনি। মেঘালয়ের বদল হবেই। সূর্য পূর্ব দিক থেকেই ওঠে। এখানেও তাই দিয়ে শুরু হবে। যুব, ছাত্র সবাই এগিয়ে আসুন। আমাদের সঙ্গে চলুন। এই সরকারকে সরাতেই হবে ৷’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৩ ডিসেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
দলীয় সূত্রে খবর নেতৃত্বের কাছে বার্তা, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের পাশে থাকবে। এনপিপি-বিজেপি জোটকে সরাতেই হবে। অনেকেই ভেবেছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতারা যাবে। কিন্তু গত কয়েকমাসে দেখেছেন বিজেপির সাংসদ তৃণমূলে চলে এসেছে। গোয়াতে দেখেছেন তো, আসলে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপিকে দেওয়া। তাই আপনাদের ভোট দিতে হবে জোড়া ফুলেই। এই লড়াই মেঘালয় ও দিল্লির মধ্যে। দিল্লির বা গুয়াহাটির আইভরি টাওয়ার থেকে মেঘালয় চলবে না। বাংলার কেউ মাথা ঘামাবে না প্রশাসন বা সরকার চালাতে। এখানকার ভূমিপুত্রই হবে মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় এজেন্সি-সহ ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন তারা আক্রমণ শানিয়েছেন। কিন্তু বাংলার ২০২১ ভোটে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করতে পারেনি। তাই বাংলা পারলে, মেঘালয়ও পারবে। মেঘালয় কেন জেলার মতো হয়ে থাকবে। এখানে এত সৌন্দর্য্য, এত সংস্কৃতি এত হেরিটেজ আছে। এখানে উন্নয়ন হবেই ৷"
বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা আজ এসেছেন মানে আর আসবেন না, তা নয়। তাঁদের যখন দরকার হবে বলবেন। তাঁরা আসবেন। প্রসঙ্গত পশ্চিম গারো পাহাড় মুকুল সাংমার হাতের তালুর মতো চেনা। এখানের একাধিক বিধানসভা আসনেই মুকুল সাংমার রাজনৈতিক পরিচয় সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। আর দু’মাস পরে এই রাজ্যে নির্বাচন। তাই গারো পাহাড়কেই বেশি টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।