ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ ছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশ্রম থেকে এক ব্যক্তিকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে যোধপুরের বিশেষ আদালত আসারাম বাপুকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয় আদালত। ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এই স্বঘোষিত গুরুর বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্রেতা সেজে ঢুকল অফিসাররা, মালদহের এক বাড়ি থেকে যা বেরোল, অবিশ্বাস্য!
আশ্রমের এক কর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, গাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন তিনি। আর সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই কিশোরীর মৃতদেহ চোখে পড়ে তাঁর। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশ্রমেরই এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে হঠাৎ বিকট আওয়াজ, মা উড়ালপুলে ঘটে গেল মারাত্মক ঘটনা!
প্রসঙ্গত, শুধু আসারাম বাপু নন, ধর্ষণে অভিযুক্ত হন তাঁর পুত্র নারায়ণ সাঁইও। গুজরাতের সুরাতের ওই ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আসারাম বাপুর শিষ্যা থাকা সুরাতের এক মহিলাকে ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে নারায়ণ সাঁইয়ের বিরুদ্ধে। ওই মহিলা এবং তাঁর বোন দুজনে মিলে পুলিশের কাছে ২০১৩ সালেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নারায়ণ সাঁইয়ের তাঁকে নিয়মিত যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন। হরিয়ানার পিপলি থেকে গ্রেফতার করা হয় নারায়ণ সাঁইকে। এবার সেই উত্তরপ্রদেশের আসারাম বাপুর আশ্রম থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।