তিনি জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে বলেছিলেন বলে জানি৷ মিঠুনদার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। কিন্তু উনি রাজনীতিতে বিশ্বাসঘাতক। ২০০৫ সালেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভায় যেতে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিঠুন দা নিজেকে বামপন্থী বলে দাবি করে গেলেন না। সেখানে স্বপনসাধন বসু গেলেন। উনি মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসতেই মহাকরণে আমার সঙ্গে গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যসভায় গেলেন। এটা সুবিধাবাদী মানসিকতার পরিচয়। বলেছিলেন, মমতা আমার বোন, এই সম্মান মনে রাখব। আপনি বেইমানি করেছেন। বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বেইমান, বিশ্বাসঘাতকের জন্য ঘুঁটের মালা।"
advertisement
এ দিন বিজেপি শিবির অভিযোগ করেছে, মিঠুন চক্রবর্তীকে হোটেল দেওয়া হচ্ছে না বালুরঘাটে। অভিযোগ উড়িয়ে কুণাল জানিয়েছেন, "আগে থেকে বুকিং থাকলে বা সংস্কার কাজ হলে দেওয়া হবে কী করে? এই সময় আগাম বুকিং থাকে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক কী? কই ত্রিপুরায় তো আমাদের হোটেলে উঠতে দেওয়া হত না। হোটেলে গুন্ডা পাঠানো হত। তখন অতিথি দেব ভবঃ মনে ছিল না। মিঠুন দা অনেক হোটেলে থেকেছেন। আমার সাথে কৃষ্ণনগরে থেকেছেন।"
আরও পড়ুন: তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ কেন হয়েছিলেন? মমতাকে দুঃখ দিতে চাননি, দাবি মিঠুনের
আরও পড়ুন: অষ্টমীতে রাজ্যে এসে অঞ্জলি দেবেন অমিত শাহ? জল্পনা উস্কে দিলেন সুকান্ত
এদিন অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন মিঠুন। পালটা তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, "মিঠুন দা দলীয় রাজনীতির চিত্রনাট্য পড়ছেন। উনি অভিনেতা তাই বলছেন। নিন্দুকরা বলছে মিঠুন দা নাকি কিসব তদন্ত এড়াতে ঘুরছেন। এটা আবার মিঠুন দার ভক্তদের কাছে ফ্রাস্টেশনের জায়গা। বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে জর্জরিত। যদি ধরে নিই ওনাকে দিল্লি পাঠাচ্ছেন। তাহলে এখানের নেতাদের ওপর আস্থা নেই। মিঠুন চক্রবর্তী সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নায় নিজের মুখ দেখেন। তাই সবাইকে দলবদলু মনে হয়। উনি সাজানো চিত্রনাট্য পড়ছেন।" এদিন মিঠুন চক্রবর্তী তার বলিউডি লড়াইয়ের গল্প শুনিয়েছেন। বারবার পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়ে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। 'নক আউট' শব্দ ব্যবহার করেছেন তিনি। আর তারই জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "রাজনীতির বাইরের ঘুষোঘুষিতে আওয়াজে হয়। নাকের কাছে এসে থেমে যায়। মিঠুন দা কিসব বলছেন? পর্দায় যা দেখা যায় তা আসল নয়। এই সব বলে কেউ রাজনীতি করে নাকি?"
