TRENDING:

'দেশে চিকিৎসকদের ঘাটতি নেই,' দাবি IMA-এর জেনারেল সেক্রেটারির

Last Updated:

জয়েশ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত চিকিৎসকদের দোষারোপ করার পরিবর্তে বিল ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার জন্য কঠোর নিয়ম আনা।"

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়া দিল্লি: ভারতে চিকিৎসকের কোনও অভাব নেই, নিউজ ১৮ ডটকমকে এমনটাই জানালেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ জয়েশ লেলে। দাবি অনুযায়ী, আইএমএ স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে ল্যাটারাল এন্ট্রির বিরোধিতা করতে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, যেমন স্নাতকোত্তর সার্জারিতে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ জয়েশ লেলে
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ জয়েশ লেলে
advertisement

ডাঃ জয়েশ লেলে বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে সমন্বিত ডাক্তার তৈরির পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের উপর প্রভাব ফেলবে। এমন কোনও প্রকৃত এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক থাকবেন না, যাঁরা আধুনিক ওষুধের উপর মূল বিষয়গুলি শিখেছেন।” তিনি দাবি করেন, "প্রতি বছর ভারত এক লাখ অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার তৈরি হয়। এই পরিমাণ দেশের প্রয়োজনের চেয়েও বেশি। ভারত জুড়ে ডাক্তারের অভাব নেই। এমনও চিকিৎসক রয়েছেন, যাঁরা কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজছেন।"

advertisement

তিনি বলেন, “মার্চ মাসে, IMA ভারত সরকারকে দেশ জুড়ে ১ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেছিল। সেই তালিকার কাউকে এখন পর্যন্ত চাকরি দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে আমরা দাবি করছি, আমাদের পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই? ভারতে ডাক্তারের অভাব এটা মিথ্যা দাবি।”

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৯-তে এর খসড়ায় চিকিৎসা শিক্ষা খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অ্যালোপ্যাথিতে ছয় মাসের কোর্স শেষ করার পরে NEET পরীক্ষার জন্য বসতে পারেন। এটাকে এমবিবিএস পড়ুয়াদের সমতুল্য হিসাবেই ভাবা হয়।

advertisement

জয়েশ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ফার্মা-ডক্টর নেক্সাসের জন্য চিকিৎসকদের দোষারোপ করার পরিবর্তে বিল ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ করার জন্য কঠোর নিয়ম আনা।"

তিনি বলেন, "বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় মানুষ কোনও যাচাই ছাড়াই ওষুধ খেয়ে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। আমরা সমস্ত অভিযোগকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না কেমন আমরা কেমিস্টদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন থেকে সাধারণ মানুষদের থামাতে পারছি না। কেবল প্যারাসিটামল নয়, এমনকি ডক্সিসাইক্লিন (doxycycline) এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিনের (azithromycin) মতো জনপ্রিয় অ্যান্টিবায়োটিকও এখন কমিস্টরা প্রেসক্রাইব করে দিয়ে দিচ্ছেন। মানুষ কেন সব কিছুর জন্য ডাক্তারদের দায়ী করেন?"

advertisement

তিনি বলেন, “প্রেসক্রিপশন দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে কঠোর নিয়মের পরিকল্পনা করতে হবে। এসবের ক্ষেত্রে সঠিক বিল থাকা উচিত। সর্দি, জ্বর এবং নিয়মিত অসুস্থতার মতো ঘটনার জন্য কেমিস্টরা ডাক্তারদের এড়িয়ে নিজেরাই ওষুধ লিখে দেন,"

তাঁর দাবি, “সরকার অনেক কিছু মিশ্রিত করার চেষ্টা করছে। আইএমএ আয়ুর্বেদ বা কোনো ঐতিহ্যবাহী ওষুধের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু আমরা চিকিৎসা নিরাময়ের বিভিন্ন মাধ্যমকে একত্রে করার কৌশলের বিরুদ্ধে। এতে রোগীর সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটি লক্ষ্য করা গেছে যে বেশিরভাগ আয়ুর্বেদিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রেসক্রাইবে অন্য ব্রাঞ্চের ওষুধের কথা লেখেন না। এখনও পর্যন্ত অ্যালোপ্যাথিতে যে পরিমাণ গবেষণা হয়েছে, তা অন্যান্য ওষুধের পদ্ধতির তুলনায় সামান্য বা নগণ্য"

advertisement

আরও পড়ুন, শুরু ২৪-এর তোড়জোড়! অনুব্রত গড়ে আসছেন শাহ, রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রীও

আরও পড়ুন, শৈত্য প্রবাহে কাঁপাকাঁপি, এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নামবে কয়েক ডিগ্রি, রইল কলকাতার লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট

ডাঃ জয়েশ লেলে বলেন, "এই মিক্সোপ্যাথি সিস্টেমটি চিনে খারাপভাবে ব্যর্থ হয়। চিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এটি চালু করার চেষ্টা করেছিল।" তিনি বলেন, "আয়ুর্বেদ, ভেষজ ওষুধের মিথ্যা বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সরকারকে অবশ্যই আপত্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যেখানে ডায়াবেটিস, এইডস, ক্যানসার এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিরাময়ের জন্য বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধের প্রচার করা হয়।"

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
'দেশে চিকিৎসকদের ঘাটতি নেই,' দাবি IMA-এর জেনারেল সেক্রেটারির
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল