আইএমএর দাবি এই বিল জনবিরোধী। যদিও বিজেপি-র চিকিৎসক সেলের দাবি, এই বিল কার্যকর হলে এমসিআইয়ের দূর্নিতী অনেকটাই কমবে।
বিতর্কটা চলছিল বিল পেশ হওয়ার আগেই। কিন্তু লোকসভায় এনএমসি বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে ডাক্তারবাবুদের বিরোধ। ন্যাশানাল মেডিকেল কমিশন বিলে ভেঙে নয়া এমন কতগুলি ধারা রাখা হয়েছে, তা স্বাস্থব্যবস্থার পক্ষে ভয়ঙ্কর দিন নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন দেশের চিকিৎসকরা। তাঁদের আপত্তি প্রধান জায়গা হল মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, নার্সিং কাউন্সিল, ফার্মেসি কাউন্সিল সহ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যাবতীয় কাউন্সিল অবলুপ্ত করে একটিমাত্র ন্যাশানাল মেডিকেল কমিশন বা এনএমসি-র আওতায় আসতে চলেছে। সন্যাশানাল মেডিকেল কমিশন নামের এই সংস্থার চিকিৎসকদের পাশাপাশি অচিকিৎসকদের প্রতিনিধি, এমনকী রোগীস্বার্থে কাজ করা ব্যক্তিকেও রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে এই এন এম সি বিলে।
advertisement
এনএমসি বিল
------------
-ন্যাশানাল মেডিকেল কমিশনকে সাহায্য করবে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া
-২০-২৫ সদস্যের কমিশন মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক
-ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর, মেডিক্যাল কলেজগুলির অনুমোদন, ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্বে থাকবে ৪ স্বশাসিত বোর্ড
-আগে নিয়ম ছিল এমসিআই এ তিনজন মেডিকেল সদস্য থাকবেন, প্রত্যেকেই রাজ্যের মনোনীত
-এনএমসি কার্যকর হলে তাতে ২০ বা ২৫ জন সদস্য থাকবেন, তাঁরা রাজ্যের সদস্য নাও হতে পারেন
-চিকিৎসকদের পাশাপাশি অচিকিৎসকদের প্রতিনিধি, এমনকী রোগীস্বার্থে কাজ করা ব্যক্তিও কমিশনে
-হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও একটি ব্রিজ কোর্স করে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারবেন
কেন্দ্রীয় সরকার যতই বলুক না কেন এই বিলে পেশাদারিত্ব আরোপ করা হয়েছে। তা কিন্তু মেনে নিচ্ছেন না দেশের চিকিৎসকরা। আইএমএর দাবি এই বিল জনবিরোধী। যদিও বিজেপি-র চিকিৎসক সেলের দাবি, এই বিল কার্যকর হলে এমসিআইয়ের দূর্নিতী অনেকটাই কমবে।