আরও পড়ুনঃ একরাতে উধাও ফাটা গোড়ালি! রাতে করুন একটি কাজ! বিনা খরচে মিলবে নরম তুলতুলে পা
মউ-এর আওতাভুক্ত উন্নয়ন ক্ষেত্রগুলির মধ্যে প্রথমটি হল স্ট্যান্ড-অ্যালোন হাই-স্পিড ক্যামেরা ব্যবহার করে কার্গো ট্রেনগুলির ভাঙ্গা ও অভাঙ্গা সিল শনাক্তকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা। আইআইটি গুয়াহাটির বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডিজাইন করা এই সিস্টেমের লক্ষ্য হবে চুরি প্রতিরোধ করে সুরক্ষা ও পরিচালনগত দক্ষতা শক্তিশালী করা এবং পণ্যবাহী ট্রেনের নিরাপদ পরিবহণ নিশ্চিত করা।
advertisement
দ্বিতীয় চুক্তিটি হলো যাত্রীদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করা, সম্ভাব্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে এবং এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে ফেস রেকগনাইজেশন এবং অ্যালার্ট সিস্টেমের উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এই চুক্তিতে। উন্নত মেশিন লার্নিং এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পদক্ষেপ যাত্রীদের জন্য এক সুরক্ষিত ভ্রমণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। এই মউ-এর তৃতীয় চুক্তিটি ট্রেনে অ্যালার্ম চেন পুলিং মেকানিজমের জন্য রিয়াল-টাইম অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পরিচালনমূলক প্রত্যাহ্বানের মোকাবিলা করবে। এই সিস্টেমটি ট্রেন পরিচালনের সময় প্রেসার ড্রপ এবং ইমার্জেন্সি রিক্রিয়েশনের মতো সমস্যাগুলি হ্রাস করে সুগম ভ্রমণ এবং উন্নত পরিচালনামূলক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।
পারিপার্শ্বিক স্থিরতার দিকে নিজেদের প্রতিশ্রুতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাক্ষর করা চতুর্থ মউ চুক্তিটির লক্ষ্য হলো রেলওয়ে কলোনি, চত্বর এবং কোচিং ডিপোগুলির এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নতি করা। এই পদক্ষেপ রেলওয়ে চত্বরের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সবুজ পরিবেশতন্ত্রকে উৎসাহিত করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে, যা রেলওয়ে কমিউনিটির সামগ্রিক কল্যাণে ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে এই চুক্তিটিতে অঞ্চলটির রেলওয়ে পরিচালনগত দক্ষতা, সুরক্ষা ও স্থিরতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা এক দূরদর্শী সহযোগিতা প্রতিফলিত হয়েছে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং আইআইটিজি-এর মধ্যে এই উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে এক শক্তিশালী প্রতিশ্রুতির প্রতীক, যা উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভৌগোলিক ও পরিচালনমূলক প্রত্যাহ্বানগুলি অতিক্রম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুনঃ মডেলের মতো ফিগারের ‘সিক্রেট’! ৭দিনে এই মশলার ‘চা’ উড়িয়ে দেবে পেটের মেদ! সব পোশাকেই নজরকারা আপনি
এই প্রকল্পগুলি যাত্রী ও রেলওয়ে কর্মীদের যথেষ্ট উপকৃত করবে বলে আশা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এই পদক্ষেপ অঞ্চলটিতে রেলওয়ে পরিচালনকে আধুনিকীকরণ ও অনুকূল করে তোলার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রচেষ্টার প্রতি এক বৃহৎ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আইআইটি গুয়াহাটির অধ্যাপকরা নিজেদের গবেষণা ও উদ্ভাবনীমূলক সমাধানগুলিও উপস্থাপন করেছেন। এই অংশীদারিত্ব সমাজের উপকারের জন্য প্রভাবশালী প্রযুক্তিগত সমাধান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উভয় প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।