ভারতের তরফে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতির কথোপকথনের প্রসঙ্গ তুলে রণধীর জয়সওয়াল জানান, “গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভারত বিষয়টি দেখছে। বাংলাদেশের আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা গভীর উদ্বেগের। এটি স্বাধীনতা রুখে দেওয়ার চেষ্টা। আমরা চাই বাংলাদেশে তাড়াতাড়ি শান্তিপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন হোক।”
advertisement
মাটির নীচ থেকে কিসের শব্দ আসছে? খুঁড়তে খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ল এমন এক ‘জিনিস’…যা দেখে হতবাক সবাই!
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট
জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, “যদি কোনও আলোচনা হয়, তা কেবলমাত্র দুই দেশের মধ্যেই হবে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাতে পারে না। জমি নেওয়া হয়েছে, ভারতের জায়গা দখল করা হয়েছে—এ সব একতরফা দাবি। এই বিষয়ে দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO)দের মধ্যে কথাও হয়েছে।”
পাকিস্তানি হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল বলে জানান তিনি। যদিও প্রথম পর্যায়ে টেকনিক্যাল কারণে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে, বিকেল ৩:৩৫ মিনিটে ফের যোগাযোগ হয়। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তান যদি আগ্রাসন বন্ধ করে, তবে ভারতও শান্তিপথে হাঁটবে।
সাপের কান নেই, তবু বাঁশির সুরে কী ভাবে শরীর দোলায়? সত্যিটা জানলে চমকে যাবেন!
সন্ত্রাসবাদ ও জলচুক্তি প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিল ভারত
ইন্দাস ওয়াটার চুক্তি নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধ না করলে তাতে বদল আসতে বাধ্য বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়সওয়াল।
তিনি জানান, “পহেলগাঁও হামলা নিয়ে একাধিক বার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। TRF এই হামলার দায় নিয়েছে। এটি লস্করের সহযোগী সংগঠন। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) জানানো হবে। TRF-কে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবি তোলা হবে।”
পর্যটক আক্রান্ত, ভারতীয় সুরক্ষার পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
সম্প্রতি হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক ভারতীয় পর্যটক। এই প্রেক্ষিতে রণধীর জয়সওয়াল জানান, “বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি পরিষ্কার ভাবে মেনে নিয়েছেন, ভারতের অধিকার রয়েছে নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা করার। একটি দেশ যদি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় দেয়, তা হলে আমরা কড়া ভাবে প্রতিহত করব।”
তবে ডিজিএমওদের পরবর্তী বৈঠকের দিন এখনও স্থির হয়নি বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। পাশাপাশি, ১০ মে আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য নয়, নিরাপত্তা এবং কৌশলগত বিষয়ই প্রাধান্য পেয়েছে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
“নিউ নরমাল” পরিস্থিতি বুঝতে পারলেই ভাল হবে পাকিস্তানের জন্য,” বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়সওয়াল।