মূলত, কিছুদিন আগেই একযোগে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও অভিযোগ করেছিলেন দক্ষিণের রাজ্যগুলো কেন্দ্রকে যে পরিমাণ কর হিসাবে রাজস্ব দেয় বিনিময়ে অনেক কম সুযোগ সুবিধা পায় ৷
স্তালিনের আরও সংযোজন যদি এমনটাই চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর সংবেদনশীলতা রক্ষা করতে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর একযোগে পৃথক দেশ ‘দ্রাবিড়নাড়ু’ দাবি জানানো উচিৎ ৷ শুক্রবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিতারামাইয়া চন্দ্রবাবু ও কেশব রাওয়ের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন রাজ্যের উন্নয়নের জন্য উত্তরের রাজ্যগুলো দক্ষিণের রাজ্যের থেকে বেশি আর্থিক বরাদ্দ পায় এর ফলে দক্ষিণের জনগণের মধ্যে হতাশা সঞ্চারিত হচ্ছে দশকের পর দশক ৷ দক্ষিণের দুই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও চন্দ্রশেখর রাও তাঁদের রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থের দাবি করেছিলেন ৷
advertisement
তিনি মনে করেন ডিএমকে নেতা স্তালিনের দ্রাবিড়নাড়ু নিয়ে সওয়াল তাৎপর্যপূর্ণ, ডিএমকের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৯, দ্রাবিড়নাড়ুর ইচ্ছা সেই সময় থেকেই সুপ্ত ছিল কিন্তু ১৯৬২ ভারত-চিনের যুদ্ধ সেই ইচ্ছাকে প্রশমিত করতে বাধ্য হয় ৷ দক্ষিণের রাজ্যের মানুষের সাথে উত্তরের রাজ্যের মানুষের গঠনগত ও জিনগত বৈষম্য আছে ৷ ডিএমকের উচিৎ তামিলনাড়ুর বাইরে বেরিয়ে একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করা ৷ তাঁরা নিজেদের দাবি অন্য ভাবে প্রকাশ করতে পারে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর জন্য কিন্ত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকাটাই বাঞ্ছনীয় ৷ তারা বরাদ্দ বর্ধিত আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে, জনগণকে সুপ্রশসান দিতে পারে ৷