এই ট্রেন চালাতে তেল বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। হাইপারলুপ কী? এটা একটা প্রায় বায়ুশূন্য টিউবের ভিতর দিয়ে চৌম্বকীয় শক্তিতে ট্রেন ছোটে। ঘর্ষণের বাধা প্রায় না থাকায় এই বিপুল পরিমাণ গতিতে পৌঁছনো সম্ভব হয়। চেন্নাইয়ে বসেছে হাইপারলুপ ট্রেনের লাইন। দেখতে পুরো পাইপের মতো। তার ভিতর দিয়েই যাবে হাইপারলুপ ট্রেন।এই পরীক্ষামূলক লাইনটি আইআইটি মাদ্রাজের থাইয়ুর ক্যাম্পাসে তৈরি করা হয়েছে। আইআইটি মাদ্রাজ, আবিষ্কার হাইপারলুপ, টুটর হাইপারলুপ নামক একটি সংস্থা মিলে তৈরি করেছে।
advertisement
প্রথম হাইপারলুপ ট্রেনটি মুম্বই এবং পুণের মধ্যে চলবে এবং প্রাথমিকভাবে এটির গতিবেগ হবে ৩৬০ কিমি/ঘণ্টা। হাইপারলুপের গতি বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুত হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এর ফলে মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে মুম্বইয়ে দূরত্ব মাত্র ২৫ মিনিটে অতিক্রম করা সম্ভব হবে। হাইপারলুপ ট্রেনগুলি ভবিষ্যতে বিমানে ভ্রমণের চেয়ে দ্রুততর হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এর টিকিটের দাম বিমান ভাড়ার চেয়ে বেশি না হলেও সমান হতে পারে৷ হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের জন্য উচ্চগতির পরিবহণ ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০০ কিমি/ঘন্টা।
আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৫.১
সাধারণ ট্রেনের মতো একাধিক কামরা নয়, বরং একটিমাত্র কামরা থাকে হাইপারলুপে।হাইপারলুপ একটি অতি-দ্রুত, পরিবেশবান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা। হাইপারলুপ নগর ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত সময় নাটকীয়ভাবে কমাতে পারে। কারণ মাত্র ১৫ মিনিটে ৬০ কিলোমিটার ভ্রমণ সম্ভব। উচ্চগতির করিডোরগুলি বর্তমান মেট্রো সিস্টেমের সঙ্গে নির্বিঘ্নে সংহত হতে পারে। ভ্যাকুয়াম-সিলড টিউবে পরিচালিত, হাইপারলুপ শক্তি দক্ষতার মাধ্যমে ভারতের পরিবেশবান্ধব পরিবহণ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।