তিন দিন আগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে, যেখানে প্রথমে ওই মধ্যবয়সিনীর মাথায় প্রেশার কুকার দিয়ে আঘাত করা হয় এবং ছুরি ও কাঁচি দিয়ে তাঁর গলা কেটে ফেলা হয়। এরপর সন্দেহভাজনরা তাঁর বাড়ি থেকে লুঠপাট করে এবং তাঁর ওয়াশরুমে স্নান করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
৫০ বছর বয়সি রেণু আগরওয়ালকে তাঁর স্বামী আইটি হাব সাইবারাবাদে একটি অ্যাপার্টমেন্টের ১৩ তলার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অপরাধের সময় তাঁর স্বামী ও ছেলে তাঁদের কর্মস্থলে ছিলেন। সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করেও কোনও উত্তর না পাওয়ার পর তাঁরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন। প্রধান দরজা তালাবদ্ধ দেখে, তাঁরা একজন প্লাম্বারের সাহায্যে বারান্দা দিয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে এবং রেণুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার হাত-পা বাঁধা ছিল এবং প্রেশার কুকার দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। হামলাকারীরা ছুরি ও কাঁচি দিয়ে তাঁর গলা কেটে হত্যা করে বলে জানিয়েছে তারা। তাঁরা প্রায় ৪০ গ্রাম সোনা এবং নগদ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, পালানোর আগে ডাকাতরা আগরওয়াল পরিবারের বাড়িতে স্নান করে। তাঁরা পোশাকও পরিবর্তন করে এবং তাঁদের রক্তমাখা পোশাক ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘শান্তি না থাকলে উন্নয়নও হবে না,’ হিংসার পরে মণিপুরে প্রথম পা রেখে, বার্তা মোদির
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঝাড়খণ্ডের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তই পরিচারক৷ তাঁরা দু’জনেই বহুতলে ১৩ নম্বর তলায় যান৷ এর পর বিকেল ৫:০২ মিনিটে চলে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আগরওয়ালের বাড়িতে কাজ করতেন, তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ছিলেন এবং মাত্র ১০ দিন আগে একটি এজেন্সির মাধ্যমে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ অন্যজন লাগোয়া ফ্লোরে রেণুর প্রতিবেশীর বাড়িতে কাজ করতেন। খুনের পর দু’ চাকার যানে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান দুই অভিযুক্ত৷