এই ঘটনার কিছু আগেই নিজেদের সমস্ত পার্থক্য, অমিল, মতান্তরকে সরিয়ে সাত বছরের বিয়েকে বাঁচাতে একটি কাউন্সেলিং সেশনে আসেন ওই দম্পতি। সমস্ত ঝামেলা ভুলে ফের একসঙ্গে থাকতে সম্মত হয়েছিলেন দু’জনেই। কিন্তু এমন মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভাবেননি স্ত্রী। হাসন জেলার হোলেনরাসিপুর পারিবারিক আদালতে এক ঘণ্টার কাউন্সেলিং শেষে বেরিয়ে এসেই স্বামী শিবকুমার তাঁর স্ত্রী চৈত্রকে আক্রমণ করেন। স্ত্রীকে অনুসরণ করে ওয়াশরুমে যান শিবকুমার এবং সেখানে একটি ছুরি দিয়ে চৈত্রের গলা কেটে ফেলেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় স্ত্রীর। এই ভয়াবহ অপরাধ করে পালানোর চেষ্টা করলে আদালতের মানুষজন তাঁকে ধরে ফেলেন।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রয়াত 'স্টক কিং', বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা! শোকাহত প্রধানমন্ত্রী মোদি
আরও পড়ুন- "শুধু তেরঙ্গা লাগালেই আপনি দেশপ্রেমিক হয়ে যাবেন না," বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধবের!
চৈত্রকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। তবে গলায় গভীর ক্ষতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী শিবকুমারের বিরুদ্ধে। পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত করে দেখছেন, কীভাবে আদালত চত্বরে লুকিয়ে অস্ত্র নিয়ে যেতে পেরেছিল শিবকুমার।
“ঘটনাটি আদালত চত্বরেই ঘটেছিল। আমরা ধৃতকে আমাদের হেফাজতে রেখেছি। সে অপরাধ করার জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল তাও আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি। কাউন্সেলিং সেশনের পরে কী ঘটেছে এবং কীভাবে সে আদালতের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল তা আমরা তদন্ত করব। এটি কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল সেটাও তদন্তের বিষয়,” বলেন হাসানের সিনিয়র পুলিশ হরিরাম শঙ্কর।