বেরেলির ফতেহগঞ্জ পশ্চিম এলাকার ধন্তিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাজুলের বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেরগড়ের জুনায়েদের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই তিনি বুঝতে পারেন, তার স্বামী বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত এবং তার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ছিল বহুদিন ধরেই।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে বন্ধ হবে পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি! দূষণ রুখতে নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের, জানুন পুরোটা…
advertisement
৫ মাস আগে জুনায়েদ নাজুলকে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু তার ৮ মাসের শিশুকন্যাকে নিজের কাছেই রেখে দেয়। এরপর আদালতে মামলার মাধ্যমে মায়ের তার সন্তানকে দেখার অনুমতি পেলেও, স্বামী তাকে মেয়ের কাছে যেতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক ঘটনা, ৬ বছরের মেয়ে সহ ৩ জনকে চরম শাস্তি ব্যক্তির! তারপর নিজে যা করলেন…
নাজুল আদালতে তালাকের মামলা দায়ের করলেও, জুনায়েদ এক মাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে মুসকান নামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানার পর নাজুল প্রতিবাদ জানাতে গেলে তার কথা কেউ শোনেনি।
৩১ মার্চ, হঠাৎই নাজুল তার স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস থেকে জানতে পারেন যে তার শিশুকন্যার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। আতঙ্কিত হয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে মারা গেছে ও তাকে কবর দেওয়া হয়েছে।
নাজুলের দাবি, তার স্বামী জুনায়েদ, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলমান, তার ভাই ও ভগ্নিপতি মিলে তার ৮ মাসের মেয়েকে হত্যা করেছে। তিনি এখন আইজি ডঃ রাকেশ সিংয়ের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করেছেন।
আইজি ডঃ রাকেশ সিং এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং শীঘ্রই আসল সত্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।