সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, মহিলার উপর আঘাত অন্য কোনও আত্মীয়ের মাধ্যমে ঘটানো হলেও দায়ী থাকবে তাঁর স্বামীই। উল্লেখ্য, এই মামলায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির এটি তৃতীয় বিবাহ, আর অভিযোগকারী মহিলার দ্বিতীয় বিবাহ।
বিয়ের এক বছর পর ২০১৮ সালে তাঁদের একটি সন্তান হয়। গত বছরের জুন মাসে ওই মহিলা তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লুধিয়ানা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানানো হয়, পণের টাকা পূরণ করতে না পারায় ওই মহিলাকে তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি নির্মম ভাবে মারধর করেছেন।
advertisement
এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবী কুশাগ্র মহাজন তাঁর মক্কেলের আগাম জামিনের আবেদন করেন ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ থেকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কেমন লোক? যে নিজের স্ত্রীকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারধর করেন? মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামী তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় তাঁর গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আইনজীবী বলেন, মহিলা নিজেই অভিযোগ করেছেন যে তাঁর শ্বশুর তাকে একটি ব্যাট দিয়ে পিটিয়েছিলেন, স্বামী নন। তখন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, কে তাঁকে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছেন না তা বিবেচ্য নয়। যখন কোনো মহিলা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আঘাতপ্রাপ্ত হন, তখন প্রাথমিক দায় তাঁর স্বামীরই। এরপর শুনানিতে বেঞ্চ অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টও এই অভিযুক্তের আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করে। ২০২০ সালের ১২ জুন, রাত ৯টা নাগাদ আবেদনকারী (স্বামী) এবং তাঁর বাবা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে অভিযোগকারিণীকে নির্মম ভাবে মারধর করেন। তাঁর শাশুড়িও এই কাজে যুক্ত ছিলেন ৷ এর পাশাপাশি মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করা হয় তাকে। এমনকী তাঁকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই কারণে মহিলার গর্ভপাত হয়ে যায় বলেও দাবি করা হয়েছে।