আলমোড়া পুলিশ জানিয়েছে, সুলত এলাকার ডাবরা গ্রামের সরকারি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের পাশের ঝোপ থেকে ২০ কেজিরও বেশি ওজনের মোট ১৬১টি জেলাটিন স্টিক উদ্ধার হয়। দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে হরিয়ানায় প্রায় ৩,০০০ কেজি বিস্ফোরক মজুত ধরা পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিপুল উদ্ধার গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবাস সিং ঝোপের ভেতর সন্দেহজনক প্যাকেট দেখে পুলিশকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দুটি পুলিশ দল গিয়ে জায়গাটি ঘিরে ফেলে এবং উদম সিং নগর ও নৈনিতাল থেকে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও ডগ ইউনিট ডেকে পাঠানো হয়। কুকুর–দল স্কুলচত্বর এবং আশেপাশের মাঠে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একাধিক প্যাকেট জেলাটিন স্টিক খুঁজে পায়, যার কিছু প্রাথমিক জায়গা থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে লুকানো ছিল।
advertisement
এফআইআর দায়ের, বহু–দলের তদন্ত
আলমোড়ার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ দেবেন্দ্র পিঞ্চা উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “স্কুলের কাছে প্রায় ১৬১টি জেলাটিন স্টিক পাওয়া গেছে। বিডিএস দল গোটা এলাকা তল্লাশি করেছে। উপযুক্ত ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
তিনি আরও জানান, সাধারণত রাস্তা নির্মাণ বা পাহাড় কেটে কাজ করার ক্ষেত্রে জেলাটিন স্টিক ব্যবহৃত হয়। তবে এত বড় মজুত স্কুলের কাছে কীভাবে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ১৯০৮–এর ৪(এ) ধারা এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)–এর ২৮৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক সিল করে নিরাপদে রাখা হয়েছে। চারটি বিশেষ দল গঠন করে কীভাবে, কোথা থেকে এবং কোন উদ্দেশ্যে এই জেলাটিন স্টিক এলাকায় আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সারা দেশে সতর্কতা
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কয়েকটি বড় বিস্ফোরক উদ্ধার–অভিযানের পর নতুন করে এই জেলাটিন মজুত–উদ্ধার নিরাপত্তা দফতরে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সূত্রের দাবি, কিছু জঙ্গি মডিউল বড় শহরগুলিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষছিল। সেই কারণেই একাধিক রাজ্যে তল্লাশি ও সতর্কতা জারি রয়েছে।
