নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদিলের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল একেবারে আর পাঁচজনের মতোই। তবে ধীরে ধীরে তার ঝোঁক মৌলবাদের দিকে বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে তিনি পাকিস্তানে যান বৈধ ভ্রমণ নথি নিয়ে। সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান, তারপরই খবর আসে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা যোগের। এরপর তার তেমন কোনও কর্মকাণ্ড সামনে আসেনি কিন্তু ২০২৪ সালে ফের সে সামনে আসে। প্রথমে রাজৌরি-পুঞ্চ এবং তারপর ডোডা ও কিশতওয়ারের মতো এলাকায় দেখা মেলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল আদিল।
advertisement
হামলার ঠিক আগে আদিলকে দেখা গিয়েছিল কাশ্মীরে। বৈসরন হামলার আগে আদিলকেও ওই এলাকায় দেখা গিয়েছিল। সে এখন হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে টিআরএফ। এর আগে কোকেরনাগে জঙ্গি হামলায় নিহত কমান্ডার উজাইরের সঙ্গে যুক্ত ছিল আদিল। হামলার দিন প্রায় চার থেকে পাঁচজন সন্ত্রাসবাদী জড়িত ছিল। স্থানীয় দুই জঙ্গির মধ্যে একজন নাকি সেই আদিল। হামলাকারীদের হাতে ছিল আমেরিকান এম-৪ এবং একে ৪৭/৫৬ রাইফেল। প্রত্যক্ষদর্শীরা আদিলকে গুলি চালাতে দেখে। হামলার পর জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
হামলার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা এই হামলায় সহযোগিতা করছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এঁরা সকলেই অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা। তল্লাশি অভিযানের সময় সেখানে থাকা বিস্ফোরকের কারণে ফেটে যায়, যাতে বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী আদিল ও তার সহযোগীদের অনুসন্ধান পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জলশক্তি মন্ত্রী সি আর সিং।