সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার বাসভবন সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হওয়ার পর কেজরিওয়ালের জন্য নয়া বাসভবন বরাদ্দ করা হয়। এই অধিকার রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক দলের সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
কেজরিওয়াল সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, যার পর অক্টোবর মাসে তিনি তার অফিসিয়াল নিবাস ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোড থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন থেকে তিনি আপের রাজ্যসভার সাংসদ অশোক মিত্তালের সরকারি বাংলোতে থাকছিলেন। ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের এই বাংলোর নতুন করে গড়ে তোলা বা নবীনীকরণে অনিয়ম নিয়ে আপ নেতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। শীষমহল বানাচ্ছেন আপ নেতা, অভিযোগ তোলে বিজেপি। কেজরিওয়ালের বাসভবন নিয়ে পারদ চড়েছিল দিল্লির রাজনৈতিক মহলের।
advertisement
জাতীয় পার্টির সংযোজক হিসেবে কেজরিওয়ালের দিল্লিতে সরকারি বাসস্থানের অধিকার ছিল। কিন্তু বাসস্থান ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমি অধিদফতরের (ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস) দেরির কারণে বিষয়টি আদালতে পৌঁছায়। কেজরিওয়ালের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাহুল মেহরা হাইকোর্টে যুক্তি দেন যে ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় পার্টির সভাপতিদের টাইপ-VII বাংলো দেওয়া হয়ে আসছে। তাই কেজরিওয়ালেরও তা প্রাপ্য। কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে উদাহরণ হিসেবে তুলে হুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতীর কথা। ৩৫, লোধি এস্টেটে তাঁর জন্যও বরাদ্দ করা হয় বাংলো। যদিও মায়াবতী মে ২০২৫ সালে এই বাংলো খালি করে দেন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের দেরি করা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি সচিন দত্ত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে জানান, বরাদ্দ কারও ইচ্ছামত হতে পারে না, বরং স্বচ্ছ নীতির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বরং স্বচ্ছ নীতির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। ২৫ সেপ্টেম্বর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আশ্বাস দেন যে ১০ দিনের মধ্যে “উপযুক্ত” বাসস্থান বরাদ্দ করা হবে। সোমবার এই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়।