এই তল্লাশির সময় একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিপিডিএস টিম আটক করে। এরপর ওই ব্যক্তির কাছে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়, যার ভেতর থেকে ৪টি হর্নবিল পাখির ঠোঁট উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত করা হর্নবিলের ঠোঁটগুলির মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। এরপর হর্নবিলের ঠোঁট সহ ধৃত ব্যক্তিকে আরপিএফ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭২-এর বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অন্তর্গত সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর হর্নবিলের ঠোঁট ও ধৃত ব্যক্তিকে অসমের বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনে বড় ঘটনা! পার্লামেন্টের সামনেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ ট্রেনের মাধ্যমে অবৈধ বন্যপ্রাণী সামগ্রী এবং বিপন্ন প্রজাতির পরিবহণ প্রতিরোধ করতে সর্বদা প্রতিশ্রতিবদ্ধ। যে কোনও অবৈধ সামগ্রীর পরিবহণ প্রতিরোধ করতে রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনে নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আসছে আরপিএফ। অবৈধ পরিবহণকারীদের এই ধরনের চোরাই সামগ্রী পাচারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আরপিএফ-এর পক্ষ থেকে নিরলস লড়াই চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের স্মার্ট কার্ডের জন্য চালু রেলের বিশেষ ডিজিটাল আবেদন প্রক্রিয়া
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের কাছে খবর আসছিল, কয়েকজন রেল পথে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ চুরি করে নিয়ে যাতায়াত করতে পারে। সেই কারণেই বিশেষ নজর রাখা হচ্ছিল। অবশেষে রেল পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পেরেছে৷ কাটিহার, মালদা, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।