নিহত যুবকের নাম আশীষ কুমার, যিনি একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। পূর্ব দিল্লির কল্যাণপুরীর NH-24 এর কাছে এই ঘটনা ঘটে, যখন আশীষ তার বন্ধুদের সঙ্গে হোলি খেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালাতে চালাতেই হার্ট অ্যাটাক! ভয়াবহ দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল, দেখুন…
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পথ চলার সময় আশীষ ও তার বন্ধুদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অপর দুই বাইক আরোহীর সংঘর্ষ হয়। এর জেরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তখনই এক ব্যক্তি তার পকেট থেকে একটি মদের বোতল বের করে আশীষের মাথায় আঘাত করে, যার ফলে বোতলটি ভেঙে যায়। এরপর সেই ভাঙা কাঁচ দিয়েই আশীষের গলা কেটে ফেলে তারা।
advertisement
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই আহত অবস্থায় আশীষকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কী বলছে? পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (DCP) অভিষেক ধানিয়া জানান, “১৪ মার্চ কল্যাণপুরী থানায় একটি PCR কল আসে, যেখানে NH-24 এর কাছে এক যুবকের গলা কেটে ফেলার খবর দেওয়া হয়। জানা যায়, দুই বাইক আরোহী এক ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে গলা কেটে তাকে মেরে ফেলে এবং রাজনগর, গাজিয়াবাদের দিকে পালিয়ে যায়।”
আশীষের বন্ধু বিকাশ পুলিশকে জানান, তারা খোদা এলাকায় ফিরছিলেন। NH-24 মোড় পার হওয়ার সময় তাদের মোটরসাইকেল মাণ্ডাওয়ালি থেকে আসা অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপরই বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আশীষের ওপর হামলা চালানো হয়।
অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তার – CCTV ফুটেজ ও অটোমেটিক নম্বর প্লেট রেকগনিশন (ANPR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি তাদের ফোনের কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যায়।
এরপর পুলিশ ৩০ বছর বয়সী পঙ্কজ কুমার সিনহা (গাজিয়াবাদ, উত্তরপ্রদেশ) ও ২৭ বছর বয়সী জিতু (মাণ্ডাওয়ালি, দিল্লি) নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।