উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলার টিকৈতনগর থানার অন্তর্গত লোধে মউ গ্রামে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আরও ভাল করে বললে ঘটনাটি ঘটেছে সরযূ নদীর তীরে। জানা গিয়েছে, হোলি খেলার পর দুই শিশু নদীতে স্নান করতে নেমেছিল। এরপরেই তাদের চিৎকার শুনতে পান অনেকে।
আরও পড়ুন: হোলিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! কনস্টেবল-হোমগার্ডসহ ৩ জনকে পিষে দিল দ্রুত গতির গাড়ি
advertisement
এমন বেশ কিছুক্ষণ চলার পর স্থানীয়রা দেখতে পান তারা ডুবে যাচ্ছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসডিএম গৌরসপুর প্রিয়া সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর ডুবুরি দল নামানো হয় এবং তাদের উদ্ধার করে টিকৈতনগর সিএইচসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে, হোলির দিন বারাবাঁকিতে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ভিটারিয়া-হৈদরগড় রোডে শুক্রবার দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় একজন যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাহরেলা গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ তার বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাহরেলা এলাকায় অপর একটি বাইকের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন, পাশাপাশি অপর বাইকচালকও চোট পান।
আরও পড়ুন: হোলির সকালে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা! দ্রুত গতির ট্রেনের সামনে এসে যায় ট্রাক, তারপর…
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত অরবিন্দকে রামসনেহিঘাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হাসপাতালের সুপার ডাঃ অমরেশ বর্মা জানিয়েছেন, অরবিন্দের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে, তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও, ফতেহপুর এলাকায় আরেকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা কুলদীপ কুমার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনাটি কাটঘরা নাহার ব্রিজের কাছে ঘটে। ধাক্কার তীব্রতায় কুলদীপ ছিটকে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। পুলিশি সহযোগিতায় তাকে ফতেহপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং চিকিৎসা চলছে। এই দুর্ঘটনাগুলোর পর প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।