একজন ছাত্রী জানিয়েছেন, ‘পুলিশ আমাদের ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইছিল৷ পুলিশ প্রস্তুত ছিল আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য৷ হঠাৎ করে সেই পুলিশের দল ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে৷ তারপর প্রথমে আমাদের পায়ে মারতে থাকে৷ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে যায়৷ পুলিশের মারে আমাদের এক মহিলা সহপাঠীর যৌনাঙ্গে আঘাত লাগে৷ তাঁর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক৷ আমার সঙ্গেও এই একই ঘটনা ঘটেছে৷ আমি দু’বার জ্ঞান হারিয়েছি৷’ হাসপাতালের বেডে শুয়ে এই মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তিনি৷
advertisement
মাত্র দশদিন আগেই জামিয়ার মিছিলে গুলি চালিয়েছিল এক বন্দুকবাজ৷ সেই ঘটনার ক’দিনের মাথায় এই ঘটনা নতুন করে অশান্তি তৈরি করেছে৷ খবর পাওয়া যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা খারাপ৷ কয়েকজনের বুকে ব্যথা হচ্ছে৷ এরা সকলেই আল শিফা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিবাদীদের মিছিল না এগিয়ে নেওয়ার জন্য৷ কিন্তু তাঁরা শোনেনি৷ নিষেধ না মেনেই জামিয়ার সাত নম্বর গেট থেকে মিছিল শুরু করে পড়ুয়ারা৷ সন্ধ্যে ছ’টা নাগাদ শুখদেব বিহার থানা ঘেরাও করে৷ কয়েকজন ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ে৷ তারপরেই ঝামেলা তীব্র আকার ধারণ করে৷