প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর এই বৈচিত্র্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হল আমাদের উত্তর-পূর্ব। বাণিজ্য থেকে সংস্কৃতি, বস্ত্র থেকে পর্যটন—এই বৈচিত্র্যই উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, বিকসিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “আমাদের কাছে উত্তর-পূর্ব শুধু একটি দিক নয়, এটি Empower (ক্ষমতায়ন), Act (পদক্ষেপ), Strengthen (শক্তিশালীকরণ) এবং Transform (রূপান্তর)—এই চারটি নীতির প্রতীক। পূর্ব ভারতের জন্য এটাই আমাদের সরকারের নীতি,” মন্তব্য করেন মোদি।’
advertisement
স্বামী টয়লেটে গেলে স্ত্রী হাতে পেলেন মোবাইল ফোন, ‘আনলকড’…! তার পর যা দেখলেন, পরিণতি হল মারাত্মক!
বোর্ডের পরীক্ষায় ৬০% নম্বর পেল ছেলে! CBSE ‘রেজাল্ট’ বেরোতেই যা করলেন বাবা…দেখলে হতবাক হবেন!
গোল, ছোট, নাকি টানা টানা? চোখ দেখেই বুঝবেন কে, কেমন মানুষ…! মিলিয়ে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো
তিনি উত্তর-পূর্বকে ভারতের ‘অষ্ট লক্ষ্মী’ বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, একসময় সীমান্ত-অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত এই এলাকা এখন দেশের উন্নয়নে প্রথম সারির এক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই সম্ভাবনাময় অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নত পরিকাঠামো যেমন পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলে, তেমনই বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। আগামী দশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রথম চালকের সুবিধা পাওয়ার এটাই সেরা সময়।”
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আসিয়ান (ASEAN) দেশগুলির বাণিজ্য ১২৫ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে এবং উত্তর-পূর্ব এই বাণিজ্যের এক শক্তিশালী সেতুবন্ধ হতে চলেছে।
“উত্তর-পূর্ব ভারতের যুব সমাজ আজ ডিজিটাল উদ্ভাবক হয়ে উঠছে। তারা নিজেদের শহরেই স্টার্টআপ শুরু করছে। এই অঞ্চল হয়ে উঠছে ভারতের ডিজিটাল গেটওয়ে। শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল বিনিয়োগ করছে উত্তর-পূর্বে,” বলেন মোদি।
তিনি আরও যোগ করেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের নতুন পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ, নতুন এক সম্ভাবনার দিগন্ত খুলছে উত্তর-পূর্বকে কেন্দ্র করে।”
সড়ক পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, শক্তি এবং সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রেও উত্তর-পূর্বে কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বলেও জানান তিনি।