সংবাদসংস্থা এএনআই-কে হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, 'অসমে অনেক ভাল ভাল হোটেল রয়েছে৷ যে কেউ সেখানে এসে থাকতে পারেন৷ তাতে কোনও সমস্যা নেই৷ মহারাষ্ট্রের বিধায়করা অসমে এসে রয়েছেন কি না, তাও আমি জানি না৷ অন্যান্য রাজ্যের বিধায়করাও অসমে এসে থাকতে পারেন৷'
আরও পড়ুন: ৫০ বিধায়কের সমর্থন, দাবি শিন্ডের! কোণঠাসা উদ্ধব শর্ত মানবেন?
advertisement
একনাথ শিন্ডের হাতে ইতিমধ্যেই ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন চলে এসেছে৷ সবমিলিয়ে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে শিন্ডের সঙ্গে৷ গুয়াহাটির কাছেই একটি হোটেলে এই বিধায়কদের নিয়ে উঠেছেন শিন্ডে৷ সারাদিনই গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে সেই সংক্রান্ত খবর, ছবি দেখানো হচ্ছে৷ অথচ সেই খবরই নাকি নেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷
আরও পড়ুন: এনসিপি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙতে প্রস্তুত শিবসেনা? ঘোষণা সঞ্জয় রাউতের
ইতিমধ্যেই, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের এই সঙ্কটের নেপথ্যে বিজেপি-র কারসাজির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির৷ মহারাষ্ট্রের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা অসমে পৌঁছনোর পর তাঁদের জন্য পুলিশি নিরাপত্তারও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল৷ তার পরেও অসমের মুখ্যমন্ত্রী এ হেন দাবি করায়, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
সরকার বাঁচাতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরের সরকার ১৭ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন করেছে৷ অসম সরকারের এক মন্ত্রীকেও শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হোটেলে দেখা গিয়েছে৷ বিরোধীরাও মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি-র বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছে৷ এই পরিস্থিতিতে দল এবং সরকারের ভাবমূর্তি বাঁচাতেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি করলেন কি না, সেটাই প্রশ্ন৷