এই শাখাটি একটি বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে চালানো হচ্ছিল, যার সামনের অংশ এখন কাদামাটিতে ভরে গেছে। তবে এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ২২ হাজার গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ ব্যাংকের সেফে রাখা ৩৯ লক্ষ টাকা পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিগোর ফ্লাইটে মাঝ আকাশে ভুয়ো অ্যালার্ম! মাঝপথ থেকেই ফিরে এল ফ্লাইট, আতঙ্কে যাত্রীরা…
advertisement
মান্ডি-২ জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, “ব্যাঙ্কের ভিতরের ফাইল, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেফ একদম অক্ষত রয়েছে। এই শাখাটি গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এবং এটি ব্যাংকের অগ্রণী শাখাগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বছরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়।”
তিনি আরও জানান, ব্যাংকের সেফ এতটাই মজবুত যে জল বা অন্য কোনো কারণে তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবু যদি কোনোভাবে ক্ষতি হয়েও যায়, তাহলে ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্কেট পলিসির আওতায় সেই টাকার বিমা রয়েছে।
পঙ্কজ শর্মা আরও স্পষ্ট করে জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভুল খবর অনুযায়ী এখানে কোনও লকার সুবিধা নেই, শুধুমাত্র ক্যাশের জন্য সেফ রয়েছে এবং তা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে সরকার ১ কোটি টাকা নগদ সহায়তার জন্য পাঠিয়েছে। থুনাগে দ্রুত ব্যাঙ্ক পরিষেবা চালু করতে কাজ চলছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ মিললেই, অন্য কোনো ভবনে অস্থায়ীভাবে ২-৩ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কের কাজ শুরু হবে।
লোন সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড জেলা দফতরে সংরক্ষিত আছে এবং তা থুনাগ ব্রাঞ্চে ফেরত পাঠানো হবে। গ্রাহকদের পক্ষে চিন্তার কোনো কারণ নেই—তাঁদের টাকা সুরক্ষিত এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।