আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে কুলুতেও আচমকা বন্যা পরিস্থিতি উপস্থিত হয়েছে৷ একটি স্কুল, বেশ কয়েকি বাড়ি এমনকি, ৩ জন মানুষও হড়পা বানে ভেসে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কুলু জেলার জিভা নালা, রেহলা বিহাল এবং গাদসা এলাকার শিলাগড়ে তিনটি হড়পা বানেগর ঘটনা ঘটেছে। হড়পা বানের সময়, তিনজন ব্যক্তি তাঁদের বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ কিন্তু, তখনই বানে ভেসে যান এবং বর্তমানে নিখোঁজ।
advertisement
বন্যার যে ভয়াবহ দৃশ্য সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়ি কাদা জলে ভেসে যাচ্ছে। কুল্লুর অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (এডিসি) অশ্বিনী কুমারের মতে, জেলার মানালি এবং বানজারেও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং অভিযান চালানো হচ্ছে।
মণিকরণ উপত্যকার ব্রহ্মগঙ্গা নালায় হঠাৎ জল বেড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে নিমজ্জিত এবং যদি জল শীঘ্রই না নেমে আসে তবে আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র শৌরি বলেন, সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি মানুষকে নদীর কাছে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সাইঞ্জ, তীর্থান এবং গারসা উপত্যকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সাইঞ্জ স্রোত উপচে পড়ছে। আমি অনুরোধ করছি মানুষ যেন নদী ও ঝর্ণার কাছে না যান… তীর্থানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গারসার কাছে একটি সেতু ভেসে গেছে৷”
বিয়াস ও শতদ্রু নদীর জলস্তর বেড়ে গেছে। এদিকে, লাহৌল ও স্পিতির পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিধস, পাথর পড়া এবং ড্রেন উপচে পড়ার কারণে কাজা থেকে সামদোহ যাওয়ার রাস্তা বেশ কয়েক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে।