সম্প্রতি ছত্তিশগড় হাই কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলা বিচারাধীন হয়। সেখানে রজনী দুবে ও অমিতেন্দ্র কিশোর প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। পর্যবেক্ষণে বলা হয়,” পিএইচডি ডিগ্রি, মোটা অঙ্কের প্রিন্সিপালের পদ পাওয়ার পর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর আচরণ সম্পূর্ণভাবে বদলে যায়। এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। স্বামীকে তিনি নিরন্তর অপমান করতে থাকেন। কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের সময় কাজ চলে যাব স্বামীর। এরপরই ছোট ছোট বিষয়ে স্বামীকে অপমান করতে থাকেন স্ত্রী। আইন অনুযায়ী এই আচরণ মানসিক নির্যাতনের শামিল।”
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্কদের আর আধার কার্ড নয়, সিদ্ধান্ত অসম সরকারের! কারণ জানালেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
আদালত আরও পর্যবেক্ষণ, মেয়েকে বাবার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো, আর্থিক সঙ্কটের সময় স্বামীর কাছে অযৌক্তিক দাবি করা এবং ছেলেকে ফেলে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া স্বামীর প্রতি মানসিক নির্যাতনের সমতূল। এতে দাম্পত্য আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বলা ভাল, এটি দাম্পত্যের প্রতি অবহেলা। উল্লেখযোগ্য, প্রতিপক্ষ স্ত্রী আদালতে কোনও পাল্টা প্রমাণ পেশ করেননি। বিচার চলাকালীন এবং আপিল প্রক্রিয়াতেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে আবেদনকারীর অভিযোগ আরও জোড়দার হয়েছে।
স্বামীর আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করে। স্বামীর অভিযোগ ছিল, স্ত্রীর পিএইচডি ডিগ্রি পেয়ে স্কুল প্রিন্সিপালের চাকরি পান, তার পরই তাঁর আচরণ বদলে যায়। রাতারাতি অহঙ্কারী হয়ে ওঠে চেনা মানুষটা। প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি করতেন, চাকরি নিয়ে তাকে তাচ্ছিল্য করতেন এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় স্বামী বেকার হয়ে গেলে তাঁকে সবরকমভাবে হেনস্থা করতেন।