ওই মামলার শুনানির (High Court On Cow) পর ‘উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) গোহত্যা বিরোধী আইনে’ অভিযুক্ত জাভেদ নামে ৪৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি যাদব। জামিন খারিজের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান, গরু সম্পর্কে ভারতীয় সমাজে ভাবাবেগ রয়েছে। অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে সামাজিক সেই ভাবাবেগে আঁচ পড়বে। ভারতীয় নাগরিকদের মতোই গরুর মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে সংসদ বিল পাশ করিয়ে নতুন আইন প্রণয়নেরও সুপারিশ করেন তিনি। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘গরুর ভাল হলে তবেই দেশের ভাল হবে।’’
advertisement
২০১৭ সালে রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা একটি মামলার শুনানিতে গরুকে ‘মাতা’ বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘‘গোহত্যার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।’’ সংবিধানের ৪৮ ও ৫১এ(জি) ধারা অনুযায়ী গরুকে জাতীয় পশুর আইনি মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি। সে সময়ই জাতীয় পাখি ময়ূরের ‘মহিমা’র কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি শর্মার মন্তব্য ছিল, ‘‘ময়ূর আজীবন ব্রহ্মচারী থাকে। অশ্রুতেই ময়ূরীর সঙ্গে তার মিলন ঘটে।’’ উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে হিন্দু ধর্মগুরু ও সন্তদের একটি সভাতেও বাঘকে সরিয়ে গরুকে জাতীয় পশুর শিরোপা দেওয়ার দাবি উঠেছিল।
বিচারক সারা দেশে গরুর আশ্রয়ের অবস্থা নিয়ে এবং যারা গরু সুরক্ষার কথা বলে কিন্তু পশুর "শত্রু" তে পরিণত হয় তাদের কথা তুলেও ব্যথিত হন শুনানি চলাকালীন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, "সরকার গোয়ালঘর তৈরি করে কিন্তু যারা এই গোয়ালঘরে কাজ করে তারা গরুর যত্ন নেয় না। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত গরু। তাই তাঁর সুরক্ষা না দিতে পারলে দেশ আগামীদিনে দুর্বল হয়ে পড়বে।