দীপক আহলুওয়ালিয়া জানান, রবিবার রাতে হঠাৎ করেই হরজিত কৌরকে বেকার্সফিল্ড থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে নিয়ে যাওয়া হয়, বিমানে করে জর্জিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার পর নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন যে ফেরার পথে বৃদ্ধার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শিকলে বেঁধে রাখা, খালি কংক্রিট সেলে ফেলে রাখা এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা। বলেন, ‘তাঁকে পরিবারকে বিদায় জানানো বা জিনিসপত্র সংগ্রহ করতেও দেওয়া হয়নি।” দীপক আহলুওয়ালিয়া আরও জানান, সঙ্গে এই নির্বাসনকে অমানবিক বলে অভিহিত করেন। হরজিত কৌরের মামলায় শিখ কোয়ালিশনও বয়স, বৈধব্য, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদির উল্লেখ করে নির্বাসনকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে। ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ আটক শুরু হয়, যখন তিনি সান ফ্রান্সিসকো আইসিই অফিসে একটি নিয়মিত চেক-ইনের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, ফ্রেসনো আর বেকার্সফিল্ডের আটক কেন্দ্রগুলির মধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে নিয়মিত ওষুধও পাননি।’
advertisement
১৯৯২ সালে হরজিত কৌর সিঙ্গল মাদার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি একটি ভারতীয় শাড়ির দোকানে সেলাইয়ের কাজ করতেন, কর দিতেন এবং গুরুদ্বারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং ২০০৫ সালে বহিষ্কারের আদেশ জারি করা হয়। ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভারতীয় কনস্যুলেট থেকে বিলম্বিত ভ্রমণ নথির কারণে অপেক্ষা করার সময় চেক-ইন এবং ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন-সহ আইসিই প্রোটোকল মেনে চলেন। তাঁর আকস্মিক অপসারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এল সোব্রান্টে শত শত লোক জড়ো হন ‘আমাদের ঠাকুমা ছেড়ে দাও’ এবং ‘হরজিত কৌর এখানেই আছেন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে। কংগ্রেসম্যান জন গারামেন্ডি, ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর জেসি আরেগুইন এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতারা আইসিইকে নির্বাসন বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আইসিই তার পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, ‘হরজিত কৌর নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিল পর্যন্ত একাধিক আপিল দায়ের করেছেন এবং প্রতিবারই হেরে গিয়েছেন। এখন যেহেতু তিনি সমস্ত আইনি পথ শেষ করে ফেলেছেন, আইসিই মার্কিন আইন এবং বিচারকের আদেশ কার্যকর করছে; তাঁরও আর কোনও মার্কিন ট্যাক্স ডলার নষ্ট হবে না।’ তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ক্রমবর্ধমান নির্বাসনের বিপক্ষে সওয়াল করছে। শিখ কোয়ালিশন বলেছে, ‘এই নির্বাসন কেবল একজন দাদির বিষয় নয়। এটি অভিবাসী পরিবারগুলির উপর পরিচালিত নিষ্ঠুরতা, যারা কয়েক দশক ধরে আমেরিকায় বসবাস, কাজ এবং সম্প্রদায়ের সেবা করে আসছে।’