রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপি মডেলে হবিবগঞ্জ নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ দেশে পিপিপি মডেলে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন এই প্রথম। এই স্টেশনে যাত্রীদের নানা রকম সুবিধার দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়ছে স্টেশনটি। এই স্টেশনে ৮টি লিফট এবং ১২টি এক্সলেটর রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রথম বিমানবন্দরের মতো দেশের কোনও রেলস্টেশনে ৩টি ট্র্যাভেলটর বসানো হয়েছে। স্টেশনের বাইরে দুটি র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও স্টিয়ারিং রুম, ডরমেটরি, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাউঞ্জ, ভিআইপি লাউঞ্জ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে ভোপলের এই রেলস্টেশনে।
advertisement
আরও পড়ুন-আর কোনও স্পেশ্যাল ট্রেন নয়, পুরনো ভাড়াতেই ফিরছে রেল! মন্ত্রকের বড় সিদ্ধান্ত জানুন
কে এই রানী কমলাপতি?
গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতি বছর ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ষোড়শ শতাব্দীতে ভোপাল এলাকা গোণ্ড শাসকের অধীনে ছিল। অনেকেই বলেন, গোণ্ড রাজা সুরজ সিংয়ের ছেলে নিজামশাহর সঙ্গে রানী কমলাপতির বিবাহ হয়েছিল। রানী কমলাপতি তাঁর সারা জীবন বীরাঙ্গনা হিসেবে আক্রমণকারীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। এই কারণের হবিবগঞ্জ রেল স্টেশনের নাম গোণ্ড রানী কমলাপতির নামে করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন-বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি, রাজ্য আইন আনলে তার ভবিষ্যৎ কী
স্টেশনটর নাম হবিবগঞ্জ রাখা হয়েছিল হবিব মিঞার নামে। তার আগে স্টেশনটির নাম ছিল শাহপুর। ১৯৭৯ সালে হবিব মিঞা স্টশন সম্প্রসারণের জন্য নিজের জমি দান করেছিলেন। তারপরেই স্টেশনের নাম হয় হবিবগঞ্জ।
RAJIB CHAKRABORTY