বর্তমানে গুজরাত সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ৪০০ মানুষ ছিল সেতুটিতে। এছাড়াও ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যদিও কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতির পর চার দিন আগে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় ব্রিজটি। প্রশ্ন উঠছে তারপরেও কেবল ব্রিজটি ভেঙে পড়ল কেন? এমনকি অভিযোগ উঠছে বড়সড় দুর্নীতির।
advertisement
আরও পড়ুন : গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু বেড়ে ৯১! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ...
এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং রবিবার একটি ট্যুইট পোস্ট করে জিজ্ঞাসা করেন গুজরাতে মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুর ভয়াবহ পতনে কমপক্ষে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা, এটি আদৌ কী 'ঈশ্বরের কাজ' নাকি পিছনে রয়েছে কোনও 'প্রতারণার কাজ'?
দিগ্বিজয় সিং, এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি ট্যুইট শেয়ার করেন এদিন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেন তিনি যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে একটি সমাবেশে ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 31শে মার্চ, ২০১৬-এ কলকাতায় বিবেকানন্দ রোড ফ্লাইওভার ধসে পড়ার পরে, নিহত হয়েছিল বহু মানুষ। সেই বিষয়ে এদিন 'মোদির সেই 'অ্যাক্ট অফ গড না অ্যাক্ট অব ফ্রড' মন্তব্য স্মরণ করান দিগ্বিজয় সিং।
তিনি লেখেনা, "মোদিজি, মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনা কি ঈশ্বরের কাজ নাকি প্রতারণার? দিগ্বিজয় সিং ২০১৬ সালের একটি সংবাদ প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে টুইট করেছেন তিনি। তিনি বলেন, সেতুটি ছয় মাস ধরে মেরামতের কাজ চলছিল কিন্তু খুলে দেওয়ার পাঁচ দিন পরই ভেঙে পড়ল সেই ব্রিজ। দায় কার?'
মোদির রাজ্য গুজরাতে, যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে, এই বছরের জুলাই মাসে কচ্ছ জেলার বিদ্রা গ্রামে প্রথম দিনের পরীক্ষার সময় নর্মদা খাল ভেঙে যায়, অন্যদিকে ভূজে একটি ওভারব্রিজ তৈরি করতে ৮-৯ বছর লেগেছিল। চালু করার এক বছরের মধ্যে মেরামত করার পরিস্থিতি তৈরি ও ওভারব্রিজেরও। তাই এর পিছনে বিজেপি সরকারের একাংশেষের প্রতারণার তত্ত্ব দাবি করছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।