গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সেতু বিপর্যয়ের তদন্তে হাই পাওয়ার কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল৷ পাশাপাশি, যে এজেন্সি সেতু সংস্কারের কাজ করেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও একাধিক ধারায় মামলা করেছে গুজরাত সরকার৷
রবিবার সন্ধ্যায় মোরবি নদীর উপরে ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলের কেবল ব্রিজ৷ দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপরে প্রায় চারশো মানুষ ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ফলে বহু মানুষ নদীর মধ্যে পড়েন৷ সবমিলিয়ে ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'অ্যাক্ট অব ফ্রড' তত্ত্ব? সেতু বিপর্যয়ে মোদিকে ২০১৬-র বাংলা স্মরণ করালেন দিগ্বিজয় সিং
মৃতের সংখ্যা যে ১০০ ছাড়িয়েছে, স্থানীয় মোরবি সিভিল হাসপাতালের পক্ষ থেকেই তা স্বীকার করা হয়েছে৷ সারারাত ধরে নিখোঁজদের খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালায় এনডিআরএফ, সেনা, নৌবাহিনী, দমকলের কর্মীরা৷ সকালেও নদীতে চলছে তল্লাশি৷
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ আমলের ব্রিজ! সংস্কারে কি দুর্নীতি হয়েছিল? স্থানীয়রা বলছেন অন্য কথা
সেতু ভেঙে পড়ার পরই সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ৷ ব্রিটিশ আমলের এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ছিল৷ সংস্কারের পর গত ২৬ অগাস্ট সেটি ফের নতুন করে উদ্বোধন করা হয়৷ যদিও সেতু ভেঙে পড়ার পরেই স্থানীয় পুরসভার অফিসার দাবি করেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল৷
এ ছাড়াও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বহন ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত মানুষ সেতুতে ওঠার কারণেই কেবল ব্রিজটি ভেঙে পড়ে৷ অভিযোগ, বেশি অর্থ লাভের জন্যই অতিরিক্ত সংখ্যায় টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল৷