সেই ১৯৯৫-এ কেশুভাই পটেল দিয়ে শুরু। তারপর থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গুজরাত নিজেদের দখলেই রেখেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে, সরকার নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও ২০১৭-র নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট কমেছিল পদ্মশিবিরের। ৯৮টি আসন নিজেদের দখলে রাখলেও কংগ্রেস ছিনিয়ে নিয়েছিল ৭৭টি আসন। দুই দলের মধ্যে তফাৎ ছিল মাত্র ২১টি আসনের।
আরও পড়ুন : অমিতাভের খুদে ভক্ত! সুপারস্টারের বাড়ির নিরাপত্তা বলয় টপকে পায়ে লুটিয়ে পড়ে কী চায় বলতে সে?
advertisement
আরও পড়ুন : তেজি ঘোড়ার মতো টগবগে যৌন জীবন চান? প্রিয় মানুষের সঙ্গে চোখ বেঁধে চলুক এই ৫ খেলা
তবে রাজনীতির কারবারিদের মতে, এবারের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারে আপের ভূমিকা। কোনও কোনও কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনীতির কারবারিরা। এমন এলাকাগুলির মধ্যে অন্য়তম, দক্ষিণ গুজরাত। যার ভরকেন্দ্র সুরাত।
দক্ষিণ গুজরাত বিজেপির খাসতালুক হিসাবেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। এখানকার মূল ভোটার হিরে ব্যবসায়ী ও পতিদার সম্প্রদায়। ২০১৭-র জয়েও এই অঞ্চলের ভোট সহায় হয়েছিল বিজেপির। শুধুমাত্র, সুরাত অঞ্চলেই ১৬টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছিল পদ্মশিবির।
কিন্তু, এবার পতিদার সম্প্রদায়ের তরফে উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে বলে দাবি করেছে আপ। বিশেষত, যখন আপের গুজরাত প্রধান গোপাল ইটালিয়া নিজেই সুরাত থেকে লড়ছেন, তখন কোনও দলকেই একচুল জমি ছাড়তে চায় না আপ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুধুমাত্র সুরাত অঞ্চলেই ৬টি কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বিজেপি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির।
আপাতত, সুরাত অঞ্চলেই ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন সারছেন আপ নেতা গোপাল ইটালিয়া। তাঁর কথায়, "এবার মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চাইছেন। ঝাড়ুু চিহ্নেই পড়বে সব ভোট।"
আবার, এমনও অভিযোগ উঠছে, ভোটে জেতার জন্য় নয়, গুজরাত নির্বাচনে আপ ময়দানে নামছে কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। এ-রও অবশ্য উত্তর দিয়েছেন ইটালিয়া। তাঁর দাবি, গুজরাতে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। এমনকী, গত বিধানসভা নির্বাচনের পরেও দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল বহু কংগ্রেস নেতাকে। ইটালিয়ার কথায়, গুজরাতের মানুষের কাছে কংগ্রেস নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
মাস পেরলেই গুজরাত নির্বাচন। উত্তেজনায় ফুটছে গোটা রাজ্য। ১ এবং ৫ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ। ভোটগণনা ৮ ডিসেম্বর। বিজেপি, কংগ্রেস না আম আদমি পার্টি। কে হাসবে শেষ হাসি, তা জানা যাবে সেই ৮ তারিখই।
