TRENDING:

WhatsApp Lawsuit : 'কোনও মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়', হোয়াটস্যাপ-এর গোপনীয়তা মামলায় পাল্টা যুক্তি কেন্দ্রের!

Last Updated:

ভারত সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি বিধি (Guidelines) গ্রাহকদের প্রাইভেসি ও তথ্য সুরক্ষার (Privacy Policy) পক্ষে বিপজ্জনক বলে দাবি করে Whatsapp সংস্থা। তার জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, 'আইনের পরিভাষা অনুযায়ী, যে কোনও মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়'।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
advertisement

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম (OTT) এবং ডিজিটাল খবরের (Digital Media) জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইন (Guidelines For Social Media) বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই গাইডলাইনে নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ ২৫ মে। সেক্ষেত্রে ২৬ মে লাগু হয়েছে  বিধি-নিষেধ। অথচ সরকারি সূত্রের দাবি, ফেসবুক (Facebook), ট্যুইটার (Twitter) এবং ইনস্টাগ্রামের (Instagram) মতো কোনও সোশ্যাল মিডিয়াই সেই নিয়ম মেনে পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে গতকাল ২৬ মে কেন্দ্রের এই নয়া ডিজিটাল বিধির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ WhatsApp।

advertisement

ভারত সরকারের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি বিধি গ্রাহকদের প্রাইভেসি ও তথ্য সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক বলে দাবি করে সংস্থা। তার জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, 'আইনের পরিভাষা অনুযায়ী, যে কোনও মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়। গোপনীয়তার অধিকারের ক্ষেত্রেও তা চূড়ান্ত নয়। আইনের স্বার্থেই সবকিছুর উপর অল্পবিস্তর নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।' শুধু তাই নয় গোপনীয়তা সংক্রান্ত WhatsApp-এর যুক্তিকে সম্পূর্ণ খারিজ করে রবিশঙ্কর বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কারণেই মেসেজের সোর্স জানাতে বাধ্য WhatsApp। দেশের সার্বভৌমতা রক্ষার জন্য, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে এই তথ্য জানা প্রয়োজন।

advertisement

প্রসঙ্গত, নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) বলেছিলেন, সামাজিক মিডিয়া অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রচারের এক প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। ভারতে মোট হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহারকারী ৫০ কোটি, ৪৪.৮ কোটি ইউটিউব (YouTube), ফেসবুকের (Facebook) ব্যবহারকারী ৪২ কোটি, ইনস্টাগ্রাম (Insragram) ব্যবহারকারী ২০ কোটি এবং ট্যুইটারর ১.৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির অপব্যবহার করে দেশে ভুয়ো সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

সরকারি তরফে বলা বিবৃতিতে বলা হয় এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, তাই সরকার এই জাতীয় প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar) ওটিটি এবং ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল সম্পর্কে বলেছিলেন, তাঁদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নিজস্ব ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ইস্যুতেও ভারতের রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই নয়া গাইডলাইন কতটা কার্যকর হয়। সরকার কি পদক্ষেপ নেবে। সে দিকেই তাকিয়ে আছে ওয়েব দুনিয়া।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
WhatsApp Lawsuit : 'কোনও মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ নয়', হোয়াটস্যাপ-এর গোপনীয়তা মামলায় পাল্টা যুক্তি কেন্দ্রের!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল