কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানাননি জগদীপ ধনখড়৷ তবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে অবহিত করাটা রাজ্যপালের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে৷ কিন্ত পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরের দিনই খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে রাজ্যপালের সাক্ষাতের মধ্যে অন্য তাৎপর্য দেখছে রাজনৈতিক মহল৷
আরও পড়ুন: পুরভোটে লড়তে এসে জামানত খোয়ালেন ৭৩১ জন! নির্দলদের মতোই অবস্থা বিরোধীদেরও
advertisement
কারণ, পুরভোটে শাসক দলের সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ রাজ্যপাল নিজেও একাধিকবার ট্যুইট করে পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ করেছিলেন৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোট করানোর দাবিতেও সরব হয়েছিলেন তিনি৷ তার পরেও অবশ্য কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশকে দিয়েই পুরভোট করায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷
আরও পড়ুন: মাত্র তিনেই কেন থামতে হল? বিজেপি-র বিপর্যয়ে উঠে আসছে একাধিক কারণ
শুধু পুরভোট নয়, গত কয়েকদিনে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে৷ এমন কি, হাওড়া থেকে বালী পুরসভাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিলে রাজ্যপাল সই না করার কারণেই হাওড়ার পুরভোট করানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এর পাশাপাশি 'মা' ক্যান্টিনের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেও রাজ্যের জবাবদিহি তলব করেছেন রাজ্যপাল৷ পেগাসাসের জন্য গঠিত কমিশন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি৷