বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ভারত রাইস প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। সরকারি সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে এই চাল পৌঁছে দেওয়া হবে। তার জন্য ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (নাফেড), ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজ্যুমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনসিসিএফ), কেন্দ্রীয় ভান্ডারের দোকান এবং মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- যাত্রীদের সুবিধার্থে নয়া উদ্যোগ! গতি বাড়ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের
উপভোক্তা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, চালের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত চাল বিক্রি হবে। মন্ত্রক জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার চালের মূল্যবৃদ্ধি ১৪.১ শতাংশ বেড়েছে। চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪৩.৩ টাকায় বেড়েছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার কম দামে আটা ও ছোলার ডাল বিক্রি করছে। সরকারি সংস্থাগুলির আউটলেটে ভারত আটা প্রতি কেজি ২৭.৫০ টাকা এবং ভারত ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সারা দেশে দুহাজার রিটেইল পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। ভারত চালও একইভাবে বিক্রি হবে।
সরকার শুধু শস্যদানা নয়, পেঁয়াজ ও টমেটোও সস্তায় বিক্রি করছে সেই আউটলেটে। প্রতি কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার গত কয়েক দিনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে খুচরা বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নন-বাসমতি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। শুধু তাই নয়, বাসমতি চাল রপ্তানির জন্য ফ্লোর প্রাইসও প্রতি টন $1,200 নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে $950-এ নামিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন- ‘আরও সংক্রামক, আরও ক্ষতিকর’, বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, JN.1 নিয়ে আরও আতঙ্ক
ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) সম্প্রতি ২৯ টাকা প্রতি কেজি দামে প্রায় ৪ লক্ষ টন চাল নিলাম করেছে। সরকারের কাছে বর্তমানে ১ কোটি ৭৯ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে।
নভেম্বরে শস্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১০.৩ শতাংশ। তার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। সেই কারণেই সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য সস্তায় বিক্রি শুরু করেছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F