ইতিমধ্যেই গোয়ায় পৌঁছেছেন তিনি। গোয়ার পানাজির দলীয় দফতরে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কাকলি। কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, আমাদের দল শুধুমাত্র নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনীতি করে না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকি আমরা, সে বাংলা হোক, ত্রিপুরা হোক কিংবা গোয়া। সব জায়গাতেই এই নীতি অনুসরণ করে চলি আমরা।
মাত্র তিনমাসের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। সে-বার সৈকতরাজ্যে জোড়াফুল শিবির কোনও আসন না পেলেও তাদের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) দু’টি আসন পেয়েছিল। পরে অবশ্য এমজিপি বিজেপির হাত ধরে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছিল, ভোটে হারলেও গোয়াবাসীর জন্য তাঁরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোয়ায় খাতা খুলেছিল ঘাসফুল শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বিজেপিতে টিকতে পারেননি, তৃণমূলই ওঁর জায়গা', 'বিহারীবাবুকে' বেনজির আক্রমণ দিলীপের
এই অবস্থায় কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সংযোজন, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন, সারা বছর গোয়াবাসীর পাশে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা তাঁদের পাশে আছি। তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিলে কথা রাখে। আগামী বেশ কয়েক দিন গোয়ায় কাকলি ঘোষ দস্তিদারের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন। হবে এলাকাভিত্তিক কর্মী বৈঠক।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় শীতের আমেজ সকালে, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
বিশেষ করে মৎস্যজীবী মহিলাদের সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর বাইরে সমাজের অন্য অংশের মহিলাদের কাছেও পৌঁছবেন তিনি। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেসব উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছেন সেগুলি গোয়ায় হলে এখনকার মহিলার উপকৃত হতেন। এগুলি মানুষের সামনে নিয়মিতভাবে তুলে ধরবে তৃণমূল কংগ্রেস। মহিলাদের নিরাপত্তা, মাদকের রমরমা, বেকারত্বের মতো ইস্যু সামনে রেখে টানা প্রচার ও আন্দোলন চালিয়ে যাবে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস।