কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল নৈশক্লাবে? সেই ইঙ্গিতই মিলল ঘটনার দিন ক্লাবের ভিতরের একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে। সোমবার প্রকাশ্যে আসা ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বেলি ড্যান্স ও লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স চলাকালীন একটি বৈদ্যুতিক বাজি জ্বালানো হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাজি থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছিটকে বাঁশ দিয়ে ক্লাবের ছাদে গিয়ে লাগে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন দাবালনের মতো ছড়িয়ে পড়ে উপরের কাঠের কাঠামো জুড়ে।
advertisement
রবিবার প্রকাশ্যে এসেছিল নেশক্লাবের অন্য একটি কোণ থেকে তোলা ফুটেজ। সেই ভিডিওতেও দেখা গিয়েছিল, একটি ইলেকট্রনিক ফায়ারক্র্যাকার থেকে ছিটকে আসা স্ফুলিঙ্গ থেকেই ক্লাবের ভিতরে থাকা অস্থায়ী জিনিসপত্রে আগুন ধরে যায়। সোমবার যে ভিডিও ফুটেজ সামনে আসে, সেই ফুটেজও রবিবারের ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে নৈশক্লাবে। কিন্তু রবিবার ও সোমবার যে ফুটেজ সামনে আসে, তা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের প্রাথমিক দাবিকে উড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:ছশো ফুট গভীর খাদে পড়ল গাড়ি, নাসিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ৬!
ক্লাবটির অভ্যন্তরীন সাজসজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছিল বাঁশের পাত, তালপাতা এবং অন্যান্য দাহ্য উপকরণ। ক্লাবের কর্মীদের মতে, সেখানকার সব আসবাব ছিল কাঠের। কাঠামোও ছিল কাঠের। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই কারণেই আগুন আরও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষে জতুগৃহে পরিণত হয় নৈশক্লাব। তদন্তকারীদের মতে, ছাদে আগুনের স্ফুলিঙ্গ লাগার নিমেষের মধ্যেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সপ্তাহান্তের দিন, উপচে পড়া ভিড়, রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভিড়ে ঠাঁসা নাইটক্লাব। একের পর এক গান বাজাচ্ছেন ডিজে। চলছে উদ্দাম নাচ। নিমেষেই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় নৈশক্লাব।
যখন আগুন লাগে তখন প্রায় ১০০ জন ডান্স ফ্লোরে ছিলেন। নিমেষেই আতঙ্ক চড়িয়ে পড়ে। প্রাণে বেঁচে ক্লাব থেকে বার হতে শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি, হুড়োহুড়ি। ঘন ধোঁয়া দ্রুত বেসমেন্ট এবং গ্রাউন্ড-ফ্লোরের রান্নাঘর ভরে দেয়। বহু হোটেলকর্মী ও পর্যটক বাঁচতে দৌড়ে নীচে নামেন, কিন্তু বেরোনোর পথ ছিলনা বলে সেখানেই আটকে পড়েন। বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে।
