পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেছে, "আমি মন্ত্রী ও বিধায়ক, উভয় পদ থেকেই পদত্যাগ করেছি। দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ করব। আমি একই সঙ্গে বিজেপি দলের সদস্যপদও ছেড়েছি। আমাকে সাধারণ ভোটাররাই বলেছেন, বিজেপি আর আম-জনতার দল নেই।" লোবো গোয়ায় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। যদিও দল ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি কোন শিবিরে যাচ্ছেন, তা এখনও স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেছেন, "যে দলেই যোগদান করি না কেন, চেষ্টা করব গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন সেই দল যেন সর্বোচ্চ আসন পায়।"
advertisement
আরও পড়ুন: নাকা চেকিংয়ে থামল পরপর দুটি গাড়ি, ভেতর থেকে যা উদ্ধার হল, পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
শেষ কয়েকমাস ধরে মাইকেল লোবো বিজেপি-র নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় লিপ্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রিকর যে বিজেপি তৈরি করেছিলেন, বর্তমানে সেই বিজেপি নেই। প্রমোদ সাওয়ান্ত গোয়ায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে বিজেপি-র চেহারা। তাঁর অভিযোগ, "বিজেপি পরিচিত ছিল তাঁর অন্যরকম দলীয় কাজকর্মের জন্য। বিজেপি-র কার্যকলাপ অন্য সব দলের থেকে একেবারে আলাদা ছিল। কিন্তু দিনে দিনে সব পাল্টে গেল। এখন আর বিজেপি-কে অন্যরকম দল বলে চিহ্নিত করার কোনও উপায় নেই। বিজেপি-র কর্মীদের আর দলে কোনও দাম নেই, গুরুত্ব নেই।" গত মাসেই এসব কথা বলেছিলেন লোবো। তখন থেকেই তাঁর দল ছাড়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। লোবো দলত্যাগ করাতে গোয়ার রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে। তাঁর নিজের কেন্দ্র কালাঙ্গুট ও তার আশেপাশের মোট ছ'টি কেন্দ্রে লোবোর ভাল প্রভাব আছে। সেই মানুষটি যদি কংগ্রেসের শিবিরে যোগ দেন, তা হলে রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
Abir Ghosal