আরও পড়ুন- কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা মিটিয়েছে বায়ু ও সৌরশক্তি!
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার মেঘাওয়াথ গায়ত্রী নামে এক মহিলার কাছে ৭০,০০০ টাকায় নাগলক্ষ্মীর মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করেন তার বাবা। বিষয়টি না জেনেই শিশুটির ঠাকুমা নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পুলিশের বিশেষ দলও গঠন করা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে যে গায়ত্রী ওই শিশু কন্যাটিকে নালগোন্ডা জেলার পালকেড গ্রামের লাম্বাডি দেবলা তান্ডার ভুকিয়া নন্দু নামে এক মহিলার কাছে ১,২০,০০০ টাকায় বিক্রি (Girl Child Sold) করেছে।
advertisement
শিশুটিকে ওই দামে কিনে ভুকিয়া নন্দু আবার হায়দরাবাদের দিলশুক নগরের এসকে নুরজাহানের কাছে ১,৮০,০০০ টাকায় বিক্রি (Girl Child Sold) করে দেয়। নুরজাহান শিশুটিকে হায়দরাবাদের নারায়ণগুড়ার চিক্কাদপল্লীর বোম্মাদা উম্মাদেবী নামে এক বিবাহিত মহিলার কাছে ১,৯০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন।
আবার, বোম্মাদা উমাদেবী শিশুটিকে ২,০০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন বিজয়ওয়াড়া বেঞ্জ সার্কেলের পাদালা শ্রাবণীর কাছে। পাদালা শ্রাবণী শিশু কন্যাটিকে গোল্লাপুডির গরিকামুক্কু বিজয়লক্ষ্মীর কাছে ২,২০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন। শেষমেশ, শিশুকন্যাটিকে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার এলুরুর ভারে রমেশের কাছে ২,৫০,০০০ টাকায় বিক্রি (Girl Child Sold) করা হয়।
আরও পড়ুন- হামেশাই ব্যবহার করছেন সুগন্ধি মোমবাতি? সতর্ক না হলে শরীরের ক্ষতি হবে এভাবেই
“প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শিশু বিক্রির সঙ্গে জড়িত সবাই কোনও সংগঠিত শিশু পাচারচক্রের অংশ ছিল না। তারা কেবল আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্যই এমনটা করেছিল,” বলেন ডিএসপি রামবাবু।
তিনি আরও জানান, মেয়েটির বাবা সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে IPC-এর ধারা ৩৭২ এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।