গত ২৭ অগাস্ট কিশোরীকে জোড় করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান অভিযুক্ত বাবু খান নামের এক ব্যক্তি ৷ টানা তিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাকে ৷ ৩০ অগস্ট কিশোরী বাড়িতে ফিরলে, ঘটনাটি জানার পরই ছতরপুর থানায় অভিযোগ করতে যান কিশোরী ও তার পরিবার৷ কিন্তু অভিযোগ নেওয়ার বদলে নাকাল করা হয় তাকে৷ ঘটনায় আশ্চর্য সারা দেশ ৷ কিশোরীর মা জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাঁদেরকে বয়ান বদলের জন্য চাপ দেন ছতরপুর থানার পুলিশ কর্মীরা ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ২০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার কলকাতা বন্দরে! গুজরাত এটিএসের অভিযানে বড়সড় সাফল্য
বয়ান বদলাতে অস্বীকার করলে, থানার মধ্যেই আটকে রাখা হয় কিশোরীকে ৷ এরপর, এক পুলিশ কর্মী থানা থেকে বের করে দেন কিশোরীর মাকে। কিশোরীর মায়ের বয়ান অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে থানায় আটকে রেখে কিশোরীর পেটে লাথি মারেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীরা৷ বেল্ট দিয়েও পেটানো হয় তাকে। বাইরে থেকে কিশোরীর আর্তনাদ শুনতে পান কিশোরীর মা। ৩১ অগস্ট ফের থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন কিশোরীর বাড়ির লোক কিন্তু অভিযোগ দায়ের না করেই তাদের চলে যেতে বলেন অনুপ যাদব নামে এক পুলিশ কর্মী। এতেও থেমে থাকেননি পুলিশ কর্মীরা, জানা গিয়েছে সারা রাত ছতরপুর থানায় আটকে রাখা হয় ওই কিশোরীকে ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! নাচতে-নাচতে মঞ্চে লুটিয়ে পড়লেন শিল্পী, হৃদরোগে মৃত্যু 'পার্বতী'-র
অবশেষে ১ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ কিন্তু অভিযোগের বিবরণে ধর্ষনের ঘটনা উল্লেখ করা থাকলেও অপহরণের বিষয়টি লিখতে নারাজ হন পুলিশ কর্মীরা। শুধু তাই নয় কিশোরীর বয়সও ১৩-এর বদলে ১৭ লেখা হয় বিবরণে। দোষীকে বাঁচানোর জন্যই বয়ান বদল করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ, এমনই অভিযোগ করেছেন জেলা শিশু কল্যাণের সদস্য আফসার জাহান।
কিশোরীকে মারধরের অভিযোগে কোতওয়ালি থানার এসএইচও অনুপ যাদব, সাব- ইন্সপেক্টর মোহিনী শর্মা, এবং এএসআই গুরু দত্ত শেষাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার শচীন শর্মা ৷ গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বাবু খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত বাবু খানের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।