সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার ঘনশ্যাম পড়াশোনার জন্য মুম্বই শিফট করেছিলেন। চাকরি করাকালীন স্টক ট্রেডিংয়ে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। ফলে ধীরে ধীরে তা শিখতে শুরু করেন। ২০১০ সালে স্টক ইনভেস্টমেন্টের প্রথম পদক্ষেপ করেন। নিজের বেতন থেকে টাকা জমিয়ে অল্প অল্প করে শেয়ার কিনতে থাকেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের মতো তিনিও ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।
advertisement
ইউটিউবে এক ভিডিও-য় ঘনশ্যাম শেয়ার করেছিলেন নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, এক বন্ধুর বাবাকে দেখেই মূলত এই বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। তিনি জানান, প্রথমে তাঁর মাসিক বেতন ছিল ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। সেই বেতনের অর্ধেক তিনি স্টক মার্কেটে ট্রেডিংয়ের জন্য রেখে দিতেন। আর একের পর এক ক্ষতির কারণে ট্রেডিং ছেড়ে দিয়েছিলেন দিন কয়েকের জন্য। এর পর স্ত্রীর ৫ লক্ষ টাকার গয়না বিক্রি করেও স্টক মার্কেটে খাটান। কিন্তু সেই টাকাও জলে যায়।
এর ৬-৮ মাস পরে ফের ট্রেডিং শুরু করেন। এবার ধীরে ধীরে স্টকের প্রবণতা বুঝতে শুরু করেন। টাকা উপার্জন করতে শুরু করেন। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ট্রেডিংয়ে সাফল্য আসায় স্থায়ী চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ব্যাঙ্ক নিফটি অপশনে ট্রেডিং শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে ঘনশ্যাম বলেন যে, “ট্রেডিংয়ে এক দিনে আমি ২ কোটি টাকা যেমন আয় করেছি, তেমনই কখনও কখনও আবার এক দিনে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোকসানও করেছি। এমনকী, বি-টাউনের অভিনেত্রী আলিয়া ভাট কিংবা ক্যাটরিনা কাইফ যে পরিমাণ আয়কর প্রদান করেন, আমিও ওই একই পরিমাণ আয়কর দিয়ে থাকি।”
ঘনশ্যামের মতে, জীবনে এবং স্টক মার্কেটে একই ভুল বারবার করা উচিত নয়। ওই ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। আর এর জন্য নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি ট্রেডিংয়ের লাভজনক কৌশল সম্পর্কে পাঠ দিয়ে থাকেন। আর সাফল্যের ট্র্যাক রেকর্ডের কারণে ঘনশ্যামের ভিডিওতে লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়।